পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রাতারাতি

 বংশলোচন। চরণ ঘোষ টেলিগ্রাম করছেন মজিলপুর থেকে কাত্তিককে পাওয়া যাচ্ছে না, পুলিসে খবর দিতে বলছেন। পাঁচটার ট্রেনে চরণবাবু নিজেও আসছেন। ছ-টা তো বেজে গেছে, তা হ’লে এসে পড়লেন ব’লে। ওঁর কাছে সব শুনে পুলিসে খবর দেওয়া যাবে। কাত্তিকটি কে?

 চাটুজ্যে। চরণের বড় ছেলে, এখানে হস্টেলে থেকে পড়ে, প্রতি শনিবারে দেশে যায়। এখন তো কলেজ বন্ধ, মজিলপুরেই তার থাকবার কথা।

 নগেন। কাত্তিককে চুরি করবে এমন ছেলেধরা জন্মায় নি। ও সব বাজে খরব।

 চাটুজ্যে। চিনিস নাকি কাত্তিককে?

 নগেন। বিলক্ষণ চিনি, আমার সেজো শালা বাঁটলোর সঙ্গে এক ক্লাসে পড়ে। বিখ্যাত ছোকরা, শিশুকাল থেকেই বেশ চৌকস। যখন দশ বৎসর বয়েস তখন সে তার বান্ধবীদের বলত মেয়েগুলো আবার মানুষ! মাথায় এক গাদা চুল, আবার ফিতে বাঁধা, আবার শুধু শুধু দাঁত বার ক’রে হাসে। মারতে হয় এক ঘুষি! তারপর চোদ্দ বছর বয়সে সে তার প্রাণের বন্ধু বাঁটলোকে লিখলে— নারীর প্রেম? কখনই নয়। ভাই বাঁটলু, এ জগতে কারও থাকবার দরকার নেই, শুধু তুমি আর আমি। কিন্তু দু বছর যেতে না যেতে তার যৌবননিকুঞ্জের পাখি কা কা ক’রে উঠল।

৮১