পাতা:হরিলক্ষ্মী.djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হরিলক্ষ্মী

 লক্ষ্মী কহিল, হাঁ। আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন, এতকাল পরে আমাকে নিজেই দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু মিনিট-পাঁচেকের বেশি বসতে পারলেন না, কাজ আছে ব’লে উঠে গেলেন।

 শিবচরণ কহিল, কাজ? আরে, ওদের দাসী আছে না চাকর আছে? বাসন-মাজা থেকে হাঁড়ি-ঠেলা পর্য্যন্ত—কই, তোমার মত শুয়ে ব’সে গায়ে ফুঁ দিয়ে কাটাক্‌ ত দেখি? এক ঘটি জল পর্য্যন্ত আর তোমাকে গড়িয়ে খেতে হয় না।

 নিজের সম্বন্ধে এইরূপ মন্তব্য হরিলক্ষ্মীর অত্যন্ত খারাপ লাগিল, কিন্তু কথাগুলা নাকি তাহাকে বাড়াইবার জন্যই, লাঞ্ছনার জন্য নহে, এই মনে করিয়া সে রাগ করিল না, বলিল, শুনেছি নাকি মেজবৌর বড় গুমোর, বাড়ি ছেড়ে কোথাও যায় না?

 শিবচরণ কহিল, যাবে কোত্থেকে? হাতে কগাছি চুড়ি ছাড়া আর ছাইও নেই—লজ্জায় মুখ দেখাতে পারে না।

 হরিলক্ষ্মী একটুখানি হাসিয়া বলিল, লজ্জা কিসের? দেশের লোক কি ওঁর গায়ে জড়োয়া গয়না দেখবার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে, না, দেখতে না পেলে ছি ছি করে?

১০