পাতা:হরিলক্ষ্মী.djvu/৩৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
হরিলক্ষ্মী

 পিসিমা অবশিষ্ট ঘটনাটা বিবৃত করিয়া কহিলেন, যা ধূলোগুঁড়ো ছিল, মাম্‌লায় মাম্‌লায় সর্ব্বস্ব খুইয়ে বিপিন মারা গেল। বাকি টাকার দায়ে বাড়িটাও যেতো, আমরা পরামর্শ দিলাম, মেজবৌ, বছর দুবছর গতরে খেটে শোধ দে, তোর অপগণ্ড ছেলের মাথা গোঁজবার স্থানটুকু বাঁচুক।

 লক্ষ্মী বিবর্ণ মুখে তেমনই পলকহীন চক্ষুতে নিঃশব্দে চাহিয়া রহিল। পিসিমা সহসা গলা খাটো করিয়া বলিলেন, তবু আমি এক দিন ওকে আড়ালে ডেকে বলেছিলাম, মেজবৌ, যা হবার তা ত হ’লো, এখন ধার-ধোর ক’রে যেমন ক’রে হোক, একবার কাশী গিয়ে বৌমার হাতে পায়ে গিয়ে পড়। ছেলেটাকে তার পায়ের ওপর নিয়ে ফেলে দিয়ে বল গে, দিদি, এর ত কোন দোষ নেই, একে বাঁচাও—

 কথাগুলি আবৃত্তি করিতেই পিসিমার চোখ জলভারাক্রান্ত হইয়া উঠিল, অঞ্চলে মুছিয়া ফেলিয়া বলিলেন, কিন্তু সেই যে মাথা গুঁজে মুখ বুজে ব’সে রইল, হা-না একটা জবাব পর্য্যন্ত দিলে না।

 হরিলক্ষ্মী বুঝিল, ইহার সমস্ত অপরাধের ভারই তাহার মাথায় গিয়া পড়িয়াছে। তাহার মুখে সমস্ত অন্ন-ব্যঞ্জন তিতো

৩৬