পাতা:হরিলক্ষ্মী.djvu/৪৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
হরিলক্ষ্মী

 আরও দুই-তিন দিন যখন এমনই করিয়া কাটিয়া গেল, তখন বাড়ির সকলেই কেমন যেন অজানা আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিল।

 সে দিন বেলা প্রায় তৃতীয় প্রহর, লক্ষ্মী স্নানের ঘর হইতে নিঃশব্দ মৃদু পদে প্রাঙ্গণের এক ধার দিয়া উপরে যাইতেছিল, পিসিমা রান্নাঘরের বারান্দা হইতে দেখিতে পাইয়া চীৎকার করিয়া উঠিলেন, দেখ বৌমা, বিপিনের বৌয়ের কাজ;—অ্যাঁ মেজবৌ, শেষকালে চুরি সুরু করলে?

 হরিলক্ষ্মী কাছে গিয়া দাঁড়াইল। মেজবৌ মেঝের উপর নির্ব্বাক অধোমুখে বসিয়া, একটা পাত্রে অন্ন-ব্যঞ্জন গামছা ঢাকা দেওয়া সম্মুখে রাখা, পিসিমা দেখাইয়া বলিলেন, তুমিই বল বৌমা, এত ভাত-তরকারী একটা মানুষে খেতে পারে? ঘরে লয়ে যাওয়া হচ্চে ছেলের জন্যে; অথচ বার বার ক’রে মানা ক’রে দেওয়া হয়েছে। শিবচরণের কানে গেলে আর রক্ষে থাক্‌বে না—ঘাড় ধ’রে দূর দূর ক’রে তাড়িয়ে দেবে। বৌমা, তুমি মনিব, তুমিই এর বিচার কর। এই বলিয়া পিসিমা যেন একটা কর্ত্তব্য শেষ করিয়া হাঁফ ফেলিয়া বাঁচিলেন।

 তাঁহার চীৎকার শব্দে বাড়ির চাকর, দাসী, লোকজন যে

৪০