পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রশ্ন পূরণের গল্প । ہ لا } রাখিলাম যে, যদি কেছ আমার নিকটে লইতে আইসে । যখন দ্বিতীয় দিন নদীতে ফেলিলাম, পুনৰ্ব্বার একশত স্বর্ণমুদ্র নদী হইতে প্রকাশ হইল, আধুমি তাহাও অনিয়া সঞ্চিত রাখিলাম । এই প্রকারে দশদিন পর্য্যন্ত মুদ্রা পাইলাম, তৎপরে একাদশ দিনের রাত্রিতে নিদ্র। যাইতেছি, এক ব্যক্তি বলিলেন, হে জগদীশ্বরের দাস! তোমার সেই দুই রোটিক জগদীশ্বরের নিকটে অনুরোধকারী হওয়ায় জগদীশ্বর তোমার প্রতি অনুগ্রহ করিয়৷ সেই সকল স্বর্ণমুদ্র তোমাকে দিয়াছেন, তুমি ব্যয় কর । পরে আমি জাগ্রত হইয়া ভূমিষ্ঠ মস্তকে জগদীশ্বরের আরাধনা করিলাম, তাহাতেই এই হৰ্ম্ম্য নিৰ্ম্মাণ করাইয়া ইহার দ্বারে ঐ কথা লিথিয়ছি, অদ্যপি আমি একশত স্বর্ণমুদ্রা পাইতেছি, এবং আমি দুঃখী ও অতিথিদিগকে ঈশ্বরের পথে ভোজন করাইতেছি, এক্ষণে অামর কয়েক বৎসর পরমায়ু অবশিষ্ট আছে। হাতেম্ এই বিবরণ শ্রবণে ভূমিষ্ঠ হইয়া বলিলেন জগদীশ্বর দাতা আছেন। পরে কয়েক দিন সেই বৃদ্ধের নিকটে থাকিয়৷ তদনন্তর বিদায় গ্রহণে শাহ আবাদে গমন করিলেন । কয়েক দিন পরে এক প্রান্তরে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, এক বৃক্ষতলে একটি কৃষ্ণসর্প ও একটি সুন্দর সুকুমার সর্প উভয়ে যুদ্ধ করিতেছে, কৃষ্ণসপ-কর্তৃক সুন্দর সর্প দংশিত প্রায় হইয়াছিল, হতেম ধাবিত হইয়। উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, রে দুষ্ট ! কি করিতেছিস্ ? এ সর্পকে ত্যাগ কর, পরে কৃষ্ণসর্প পৃথক্ হইয়া পলায়ন করিল। সুন্দর সর্প পলায়নে অসমর্থ হেতু বৃক্ষতলে থাকিয়া হাতেম্কে দেখিতে লাগিল। হাতেম্ বলিলেন নিশ্চিন্ত থাক, যে পর্য্যন্ত তুমি সুস্থ না হও, সে পৰ্য্যন্ত আমি এস্থানে দণ্ডায়মান থাকিব, কিঞ্চিৎপরে সুন্দর সর্প সুস্থ হইয়া বৃক্ষের পাশ্বে গতি পূ