পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

">ʻ> er হাতেম তায়ি | হাতেম্কে রাখিয়া প্রতিদিন ভোজনীয় দ্রব্যাদি উপস্থিত করিতে লাগিল। কিছুদিন গত হইলে হাতেমৃ বলিলেন, এখন আমাকে অলকা-পৰ্ব্বতের পথ দেখাও । পরে পরীগণ হাতেম্কে সঙ্গে লইয়া সাতদিন পর্য্যন্ত দিবারাত্রি গমন পূৰ্ব্বক তথা হইতে বিদায় হইবার বাসনায় বলিল, এস্থানের অগ্রে আমাদিগের সীমা নাই, এক্ষণে উচিত এই যে দক্ষিণ দিকের পথে যাও, পরে একটি পর্বত পাইবে, সেই পৰ্ব্বতের উপরে দুইটি পথ আছে, তাহার দক্ষিণের পথে গমন করিলে আলুকা-পৰ্ব্বতে উপস্থিত হইবে। হাতেম্ তাহাদিগের নিকটে বিদায় হইয়া সেই পৰ্ব্বতের পথ অবলম্বন করিলেন। একমাস পরে সেই দুইটি পথে উপস্থিত হহয়। রাত্রি হওয়ায় সেই স্থানে থাকিলেন, এক প্রহর রাত্রি গত হইলে ক্ৰন্দনের শব্দ তাহার কর্ণে প্রবেশ করিল, জাগ্রত হইয়া মস্তক উত্তোলন পূর্বক সেই শব্দে কর্ণপাত করিলেন, এবং মনে মনে বলিলেন হে হাতেম! তুমি যদি পরমেশ্বরের পথে কটিবন্ধন করিয়াছ, তবে এ শব্দ শুনিয়া কেন তাচ্ছল্য করিতেছ ? পরে ঈশ্বরকে কি উত্তর দিবে? তদনন্তর হাতে উঠিয়া বামদিকে গমন করিলেন, সমস্ত দিন পর্য্যন্ত গমন করিয়া কাহাকেও দেখিতে পাইলেন না । যখন রাত্রি হইল তখন পুনৰ্ব্বার সেই শব্দ তাছার কর্ণে প্রবেশ করিলে, উঠিয়া সেই শব্দের দিকে গমন করিলেন । তৃতীয় দিনে একস্থানে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, আপদ মস্তক আবরণ-বিহীন, সুন্দর-মুখ এক যুব ক্ৰন্দন ও চীৎকার করিতেছে, হাতেম্ উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, হে পরমেশ্বরের দাস এ প্রান্তরে একাকী কেন ক্ৰন্দন ও চীৎকার করিতেছ ? তোমাকে কে ক্লেশ দিয়াছে ? যুবা হাতেম্কে দেখিয়া অধিক ক্ৰন্দন করিতে লাগিল, হাতেম্ বলিলেন, তোমার কি ক্লেশ উপস্থিত হইয়াছে ? অা