পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১১৯

>>* হাতেম্ তায়ি । হইলে কন্যা বলিল, অগ্রে আমার দোষ প্রমাণ করুন । পরে মসক্ষরষাছু দণ্ডায়মান হইল, ধাত্রী বলিল, হে রাজন কন্য। এক্ষণে যুবতী হইয়াছে, আপনার নগরে এমন কেহ নাই যে কন্য। তাহার সঙ্গে সন্তোষিণী হয়, এ বিদেশী এখনি কোন স্থান হইতে আসিয়াছে, বড় লোকের সন্তান বোধ হইতেছে, আর অত্যন্ত লজ্জিত আছে, উত্তম এই যে এই যুবার সঙ্গে কন্যার বিবাহ দিউন, ইহাতে অত্যন্ত পুণ্য হইবে, যদি এই দুই অপরাধকে ছেদন করেন, তবে প্রথমতঃ জগতে অখ্যাতি হহবে, দ্বিতীয়, ইহাদিগের হত্যার অপরাধে নিরর্থক বদ্ধ হইবেন । মসক্ষরষাছু কন্যাকে বলিল, তুমি কি বল ? কন্যা বলিল, যখন আমি ইহাকে দেখিয়াছি, তখন ইহাকে স্বীকার করিব । তাহার পিতা বলিল অতি উত্তম, কিন্তু আমার তিনটি প্রশ্ন আছে, ষে কেহ তাহ পূর্ণ করিতে পরিবে, তাহাকে কন্যা দিব । আমি তাহাকে বলিলাম, যাহা বলিবে তাহা করিব । তদনন্তর সে আমাকে আপনার নগরে লইয়। গিয়া সকলের সাক্ষাৎকারে আপন মন্ত্রিদিগকে আহবান পূর্বক আমাকে বলিল, আমার প্রথম প্রশ্ন এই যে, এক যোড়া পরিরুপক্ষী আনি । দ্বিতীয়, রক্তবর্ণ সপের রক্তবর্ণ মণি আন । তৃতীয়, যখন ঘৃত অত্যন্ত তপ্ত হইবে, তখন তাহাতে ঝম্প প্রদান করিয়া তাহা হইতে জীবিত বহির্গত হইতে পারিলে তোমাকে কন্যা দিব। আমি তাহ স্বীকার পূর্বক নগর হইতে বহির্গত হইয়। এস্থানে উপস্থিত হইলাম, ক্ষুধা তৃষ্ণায় কাতর এবং সেই কন্যার হাব ভাবে জৰ্জ্জরিত-মনঃ হইয়াছি, এক্ষণে আমার এমন সাধ্য নাই ষে বাট যাই, কি তাহার প্রশ্ন পূরণ করিরা তাহার মিলন পাই, ছুই বৎসর হইতে এই প্রান্তরে অত্যন্ত দুঃখে ভ্রমণ করিতেছি । হাতেম্ বলিলেন তুমি নিশ্চিন্ত থাক, আমি পরমেশ্বরের