পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:శ్రీ হাতেমৃ তায়ি । হঠাৎ সেই অতি দীর্ঘ রক্তসৰ্প প্রস্তরের ন্যায় বৃহৎ ফণী ধরিয়া ভূমি হইতে প্রকাশ হইল, যেৰূপ চুল্লিদ্বার হইতে অগ্নির স্ফুলিঙ্গ নির্গত হয়, সেইৰূপ তাহার নাসিক-রন্থদ্বয় হইতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বাহির হইতে লাগিল, কিন্তু হাতেমের মুখস্থিত গুটিকার কারণে র্তাহার মুখে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ শীতল জল হইতে ছিল । হাতেম্ মহুয়ুর-জীনের দত্ত যষ্টি ভূমিতে রাখিয়া, তাহার ছায়ায় বসিয়া দেখিতে লাগিলেন। সর্প ঐ যষ্টিকে দেখিয়া নিকটে আসিতে পারিল না, কিন্তু দূর হইতে অগ্নির উষ্ণতা ত্যাগ করিতে লাগিল, পরে সর্প সমস্ত রাত্রি উষ্ণতা ত্যাগ করিতে ক্রটি করিল না। যখন প্রাতঃকাল হইল, তখন হাতেম্ দেখিলেন, সৰ্পের মুখে একটি রক্তবর্ণ গোলাকৃতি আছে, তাহা সে ত্যাগ করিতেছে না, পরে হাতেম্ সেই যষ্টিকে মস্তকোপরি ঘূর্ণায়মান করিলেন, সৰ্প কুণ্ডলী করিয়া ভূমিতে ছট ফট্‌ করিতে লাগিল। তদনন্তর দিবাকর প্রকাশ হইলে সর্প গুটিকা ত্যাগ করিয়া গৰ্ত্তের ভিতরে প্রবেশ করিল । হাতেম্ দ্রুতগমনে গুটিকার নিকটে যাইয়া তদর্শনে এৰূপ ভয় করিলেন যে ইহা উষ্ণ আছে, কিঞ্চিৎ বিলম্বের পর দূর হইতে সেই গুটিকার উপরে বস্ত্র নিঃক্ষেপ করিলেন, পরে যখন দেখিলেন যে বস্ত্র দগ্ধ হইল না, তখন অগ্ৰে গমন পূর্বক গুটিকাকে গ্রহণ করিয়া উষ্ণীষে বন্ধন করিয়া রাখিলেন । যখন সৰ্প হইতে গুটিক গৃহীত হইল, তখন উষ্ণতা দূর হইয়া গেল, আর সেই ভূমির বর্ণ হরিদ্বর্ণ দৃষ্ট হইল। গুটিকার গুণ এই যে যদি কেহ সেই গুটিককে গ্রহণ করে তবে তিন বৎসর পরে সেইৰূপ গুটিকা জন্মে, তাহার একাধিক সহস্র প্রকার গুণ আছে, তন্মধ্যে কয়েকটি গুণ লিখিতেছি । প্রথম এই যে তাহ যাহার নিকটে থাকে, সে নদীতে মগ্ন হয় মা; দ্বিতীয়, সৰ্পের বিষে ও অন্যান্য