পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○8 হাতেম্ তায়ি । তাহা বাহির করিয়। যুবাকে দিয়া বলিলেন, ইহাকে মুখে রাখিয়া নিঃশঙ্কায় আপনাকে ঘৃতে নিঃক্ষেপ কর ; যুবা কম্পিত হইল, হায়তম এৰূপ দিব্য করিলেন যে তোমার হানি হইবে না । তৎপরে যুবা হাতেমের কথিতানুসারে গুটিকা মুখে রাখিয়া চুল্লির নিকটে গমন পূর্বক দর্শন করিল যে স্থত আবৰ্ত্তিত হইতেছে, যুবার মনঃ কম্পিত হহতে লাগিল, হাতেম বুলিলেন, হে নিৰ্ব্বোধ ! ভাবিত হইও না, এ প্রেম-অগ্নি, যুব হাতেমের কথায় চক্ষুঃ মুদ্রিত করিয়া ঘৃতে কৰ্ম্ম প্রদান পূৰ্ব্বক দেখিল যে জলের ন্যায় শীতল আছে, কটাহ-মধ্যে চতুর্দিকে ধাবিত হইয়া দুই হস্ত দ্বারা মস্তকে ও অঙ্গে ঘৃত মর্দন করিতে লাগিল এবং বলিল, হে মসক্ষরযাদু ! এখন কি বল, বহির্গত হই, কি কিঞ্চিৎ কাল আর থাকি ? মসক্ষরষাদু যখন দেখিল যে যুবা জীবিত রহিয়াছে, তখন মনে ভীত হইয়া নত-মস্তকে বলিল, বহির্গত হও । যুবা বহির্গত হইল, পরে মসক্ষরযাদু যাদু করিতে আরম্ভ করিল, হাতেম উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, হে মসক্ষরযাদু : আর কেন বিলম্ব করিতেছ? তুমি যাহা প্রতিজ্ঞা করিয়াছ তাহ কর, তোমার যাদুতে কিছুই হইবে না, এ আর একটি রক্তবর্ণ গুটিকা নিকটে রাখে, তৎপরে মসক্ষরঘাতু অনুপায় হইয়া যুবকে ক্রোড়ে লইল, আর বিবাহের আয়োজন করিয়া কন্যা তাহকে দিল এবং অনেক বিনয় করিয়া বলিল যে, যেসমস্ত ধনাদি অামার আছে, তাঙ্গা আপনার জ্ঞান কর, কেননা আমার সন্তান নাই, তুমি আমার পুত্র হইলে । যখন উভয়ের মানস পূর্ণ হইল, তখন হাতেম্ সেই যুবকের সন্নিধানে বিদায় গ্রহণে তালুক-পৰ্ব্বতের দিকে গমন করিলেন । বহুদিন পরে আলঙ্কা-পৰ্ব্বতে উপস্থিত হইয়া একটি এৰূপ পৰ্ব্বত দেখিলেন যে পক্ষিদিগের সাধ্য নাই ষে তাহার উপরে