পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}&$ হাতেম তায়ি । সেই দিকে গমন করিয়া গৰ্ত্তের উপরে উপস্থিত হইলাম, আর গৰ্ত্তকে দেখিয়া ভাবিলাম, এ পরিষ্কার প্রস্তরের উপর দিয়া কিপ্রকারে গর্তে যাইব । তৎপরে আমার মনে উদয় হইল যে স্বয়ং প্রস্তরের উপরে শয়ান হইয়া যাই । এইৰূপে তোমাদিগের তত্ত্বে এখানে উপস্থিত হইলাম, তোমরা বল, এ কোন স্থান ? আর ইহার নাম কি ? পরীরা বলিল, এ পৰ্ব্বতের নাম আলকা, আলকনপরীর এ উদ্যান, আর আমরা উদ্যানের রক্ষক আছি, এক্ষণে বসন্তকাল, ভ্রমণের সময়, মলকা অালকন পরী পরশ্ব দিবস এ উদ্যানে ভ্রমণ করিতে আসিবেন, তোমাকে কিৰূপে রাখি, তুমি ছেদিত হইবে । এক্ষণে তুমি আমাদিগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিরাছ, আমাদিগের দয়া হইতেছে, হাতেম বলিলেন, কোথায় ষাই ? অামার যাইবার স্থান নাই, র্যাহার জন্য এত কষ্ট পাইয়া আপনাকে এস্থানে উপস্থিত করিয়াছি, তিনি এ উপবনে আসিবেন, যাহা হয় হউক । পরীরা বলিল,তোমার কি কৰ্ম্ম আছে ? তুমি দরিদ্র, তিনি পরীদিগের রাজ্ঞী, হাতেম বলিলেন কখন মনুৰ্যের পক্ষে পরীর অবশ্যক হয়, কখন পরীও মনুষ্যের আবশ্যক হয়। পরীরা বলিল, হে নিবোধ ! তুমি কি আপন পরমায়ুঃ হইতে নিরাশ হইয়াছ যে এৰূপ কথা বলিতেছ ? হাতেম কঙ্কিলেন, ষে ব্যক্তি প্রাণ হইতে নিরাশ হয়, সেই এমন স্থানে আইসে। পরে সমস্ত পরীরা একবারে হাতেমের প্রতি ধাবিত হইলে হাতেম্ নতশিরে দণ্ডায়মান হইলেন, তাহারা আপন আপন মনোমধ্যে বলিল, কি আশ্চৰ্য্য, এ মনুষ্য নত-শিরে রহিল, পলায়ন করিতেছে না এবং যুদ্ধও করিতেছে না, এমন ব্যক্তিকে কিপ্রকারে ক্লেশ দেওয়া যায়। পরে বলিল হে যুবক ! তুমি যাও, তোমাকে অনুগ্ৰছ করিয়া বলিতেছি এ তোমার স্থান লঙ্কে, আপন প্রাণকে ও