পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রশ্ন পুরণের গল্প । 》8 অ।মি তাহ দেখিতেছি, আমি বলিলাম, এ বিদ্যা কি? যুবা বলিল বিদ্যা নষ্টে, এক অঞ্জন আছে, যেব্যক্তি তাহা চক্ষুতে দেয়, সে প্রেথিত-ধন দেখিতে পায়,আমি বলিলাম হে প্রিয় ! যদি তুমি তাহা অামার চক্ষুতে দাও, তবে তাহাতে আমি যেসমস্ত ধন দেখিতে পাইব, তাহার অৰ্দ্ধেক তোমার হইবে। যুবা বলিল উত্তম, আইস প্রান্তরে যাই । পরে এস্থানে আসিয়৷ এই পিঞ্জর দর্শনে বলিলাম, এ পিঞ্জর কাহার? সে বলিল, কাহার পিঞ্জর তাহা জগদীশ্বর জানেন, পরে সে এই তরুতলে উপবেশন'পূৰ্ব্বক আপনার থলী হইতে অঞ্জন বাহির করিয়া আমার ছুহ চক্ষুতে দিল, দিবামাত্র দুই চক্ষুঃ দৃষ্টিীন হইল, তাছাকে বলিলাম, হে প্রিয় ! এ কি করিলে ? সে বলিল তোমার অঙ্গীকার অপালনের এই দণ্ড, যদি তুমি পুনৰ্ব্বার চক্ষুঃ প্রাপ্ত হইবার ইচ্ছা রাখ, তবে এই পিঞ্জরের মধ্যে বসিয়া ক্ৰন্দন পূৰ্ব্বক এৰূপ বলিতে থাক যে, “কাহারো মন্দ করিও না, যদি করিবে তাচ পাইবে আমি বলিলাম ভূমি আমার এৰুপ অবস্থা করিলে কিন্তু জগদীশ্বরকে কি উত্তর দিবে? সে বলিল, তুমি জগদীশ্বরের শপথ করিয়াও আমার মুখে অনেক মুস্টাঘাত করিয়াছ, তাহাতে কি উত্তর দিবে ? পুনৰ্ব্বার বলিলাম এক্ষণে আমার ঔষধ কি ? সে বলিল, কোন একদিন এক যুবা এস্থানে আসিবেন, তাহাকে আপন বিবরণ বলিও, এই পৰ্ব্বতে নুর তৃণ (উজ্জ্বলঘাস) আছে, তিনি তাহা অনিয়া তোমার চক্ষুতে দিলে তোমার চক্ষুর দর্শন-শক্তি হইবে । এইৰূপে সেই যুবা এই পিঞ্জর-মধ্যে আমাকে রাখিয়া গিয়াছে, এক্ষণে প্রায় তিনশত বৎসর হইল, এই পিঞ্জরে বসিয়া আছি, যখন পিঞ্জর হইতে বহির্গত হই, তখন আমার তাবৎ চৰ্ম্ম ও পদদ্বয় বেদনা করে, পরে কাতর হইয়! এই পিঞ্জরের মধ্যে একদিন মনে করি .