পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/২৩

>y) হাতেম্ তায়ি । একদিন রাজা সেই সন্ন্যাসীকে দর্শন করিতে যাইতেছিলেন, এমন সময় হোসম্বানু গোর্দশস্থশাহের সমীপে আসিলেন, যখন হোসমবায়ুর প্রতি রাজার নেত্ৰপঞ্জত হইল,তখন তিনি পরমানন্দিত হইয়া অনুমতি করিলেন, হে মাহরুশাহ ! অদ্য আমি সংসার সন্ন্যাসীর নিকটে যাইতেছি, যদি তাহীকে দর্শন করিতে ইচ্ছা হয়, তবে আমার সঙ্গে আইস, এৰূপ সংসার সন্ন্যাসী পুরুষকে দর্শন করিলে পরিত্রিকের সৌভাগ্য সঞ্চয় হয়। হোসন্ত্ৰবানু বলিলেন ইহাতে আমার দুইপ্রকার সৌভাগ্য আছে, প্রথমতঃ তাহাকে দর্শনে পবিত্র হওয়া, দ্বিতীয়তঃ ভবাদৃশ প্রধানের সঙ্গে যাওয়া, কিন্তু মনে করিতেছিলেন এমন পিশাচকে দেখা কৰ্ত্তব্য নয়। পরে রাজার সঙ্গে ঐ সন্ন্যাসীর ভবনে গমন করিলেন, রাজা যে প্রকার তাহার চরণ চুম্বন করিলেন, হোসনবালুও সেইৰূপে সন্ন্যাসীর চরণ চুম্বন করলেন, গোর্দানশাহ মাহরুশাহের প্রশংসা ও বর্ণনা করিতে আরম্ভ করিলেন, হেসনবনু নতশিরে তাহ শুনিতেছিলেন এবং মনে মধ্যে ভাবিতেছিলেন ইহা কেবল রত্ন, ময়ুর, ও ইয়াকুর্তের বর্ণনা, নতুবা আমি সেই বৰ্বজখ-বণিকের কন্যা, তামাকে নগর হইতে বহির্গত করিয়া দিয়াছিলেন । যখন রাজা সন্ন্যাসীর নিকট হইতে বিদায় হইবার মানস করিলেন, তখন হোসনবনু রীতিমত গাত্রেথান করিয়া বলিলেন, যদি অনুগ্রহ করিয়া মহাপুরুষ আমার গৃহে শুভাগমন করেন তবে তাহা মহাপুরুষদিগের স্বভাবের বছিভূত কৰ্ম্ম হয় না। মন কৰ্ম্মকারি সন্ন্যাসী কহিল অবশ্য যাইব, হোসনুবানু বলিলেন এ দাষের ভবন দুর, এ নগরের মধ্যে বৰ্বজখ-সওদাগরের ভবনে শুভাগমন করিবেন,এই ৰলিয়া গোদর্শনশাঙ্কের সমীপে নিবেদন করিলেন, বরঞ্জশ্ব-বণিকের ষে ভবন