পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠপ্রশ্নপূরণের গল্প । ২৬১ কহিলেন আমি তোমার মস্তকের উপরে শূন্যে শূন্যে যাইব, যেস্থানে তুমি অবস্থান করিবে আমিও তথায় নামিব । হাতেম্ পক্ষীর পালখসকল যাহা সঙ্গে রাখিয়াছিলেন, তাহার কয়েকটি রক্তবর্ণ পালখ অগ্নিতে দগ্ধ করিয়া তাহার ভস্ম জলের সহিত মিশ্রিত-পূৰ্ব্বক তাহ সমস্ত দেহে মর্দন করিলেন, তাহাতে দেহ স্ফীত হইয়া কৃষ্ণবর্ণ হওত দৈত্যের আকার হইলে গমন করিতে লাগিলেন, হিংস্ৰক জন্তুসকল হাতেম্কে দর্শনে পলায়ন করিয়া ভাবিল যে, এ আপদ কোথা হইতে আসিল ।” পরে হাতেম্ তিনদিন তিনরাত্রি পথে গমন-পূৰ্ব্বক এক স্থানে অবস্থান করিলেন এবং শ্বেতবর্ণ পালখদ্বারা আপন পূৰ্ব্ব আকার প্রাপ্ত হইয়া মেহেরওয়ারের সহিত নিদ্রা গেলেন। মহকাল নামে দৈত্য মৃগয়া করিতে শূন্যে ঘাইতেছিল, সে হঠাৎ তাহাদিগের দুইজনকে নিদ্রাগত দেখিয়া আপন সঙ্গিদিগকে বলিল এ কি ব্যাপার ; এক পরীপুরুর ও এক মানুষ কিৰূপে একত্র হইয়াছে ? কেহ যাইয়। এই ছুইঝুক্তিকে আনয়ন কর । ইহাদিগকে জিজ্ঞাসা করি যে ইহার কারণ কি? পরে কয়েকটি দৈত্য অসিয় তাহাদিগের দুইজনকে জাগ্রত করিয়া বলিল উঠ; তোমাদিগকে মহুকাল-দৈত্য ডাকিয়াছেন, রাজা-মেহেরওয়ার দৈত্যদিগের সঙ্গে অনেক বিতণ্ডা করিলেন, কিন্তু তাহার। ছাড়িল না, দুইজনকে মহ কালের নিকটে লইয়া গেল । মহকাল রাজপুত্র-মেহেরওয়ারকে জিজ্ঞাসা করিল, তুমি এ মানুষকে কোথায়.পাইয়াছ ? মেহেরওয়ার তাবৎ বৃত্তান্ত বর্ণন করিয়া বলিলেন যে, শম্স্শাহ বহুকাল হইতে সৰ্পের আকৃতি হইয়াছিলেন, আর তাহার সমস্ত পরী-পুরুষদিগেরও পক্ষ ছিল না, পরিশেষে এই যুবার আশীৰ্ব্বাদে তাহারা উজার হইয়াছেন,