পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: ,5 ছাত্তেম তারি। এবং এৰূপ অনুসন্ধান কর যে, সে কোথায় গিয়াছে? পরে কয়েক জন দৈত্য হাতেমের অনুসন্ধানে চতুর্দিকে ধাবমান হইল । এদিকে যখন পরীপুরুষের সিংমুসনের সহিত হাতেম ও মেহেরওয়ারকে লইয়া কছরমান-নদীর তীরে উপস্থিত হইল, তখন মন্থকালের ভূত্য এক দৈত্য তথায় আসিয়া উপনীত হইল এবং তাহাদিগকে চিনিতে পারিয়া হাতেমের হুস্ত ধরিতে ইষ্ট করিল ; তাহাতে রাজপুত্র-মেহেরওয়ার করবালদ্বারা এৰূপ আঘাত করিলেন যে, সেই দৈত্যের হস্ত ছেদিত হইয়া গেল। দৈত্য পলায়ন করিতে করিতে বলিল, হে রাজপুত্র-মেহেরওয়ার : তুমি মনুষ্যজাতির জন্য আমার হস্ত ছেদন করিলে । আমি এ চড়ার সমস্ত দৈত্যকে সংবাদ দিব যে, পরীপুরুষের একজন মানুষকে লইয়। যাইতেছে । মেহেরওয়ার বলিলেন, হে দৈত্য! যাও মহুকালকে সংবাদ দাও যে, মেহেরওয়ার মনুষ্যজাতিকে লইয়া গিয়াছে, আর তাঁহাকে বলিও যেন সে সাবধান থাকে, আমি তাহাকে জয় করিব এবং তাহার চড়া কাড়িয়া লইব । • তদনন্তর পরীপুরুষেরা এক প্রান্তরমধ্য সিংহাসন নামাইয়। মেহেরওয়ারের ও হাতেমের নিকটে বিদায় প্রার্থনাপূর্বক বলিল এই প্রান্তরের সমুদায় সীম দৈত্যে পরিপূর্ণ, আমরা এস্থান পৰ্য্যন্ত সিংহাসনকে আনিলাম, ইহার অগ্রে আমাদিগের যাইবার পথ নাই। মেহেরওয়ার তাহাদিগকে বিদায় করিলেন। পরে, হাতেম মেহেরওয়ারের সঙ্গে গমন করিতে লাগিলেন এবং মেহেরওয়ারকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি, কিছু জানু ? এপ্রান্তর কইতে কিপ্রকারে উত্তীর্ণ হইব । মেহেরওয়ার বলিলেন হে হাতেম দৈত্যদিগের দৌরাত্ম্যে মনুষ্যের সাধ্য নাই যে ঐ প্রাস্তর হইতে উত্তীর্ণ হয় ; পরীপুরুষেরা এ প্রাস্তরে সর্বদ আসিয়া