পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ** হাতে তায়ি। তুমি কোথায় ছিলে ? আর তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইয়াছে কি না ? মেহেরওয়ার কছিলেন, আমি তোমাদিগের কথা শ্রবণ না করিয়া পরিশেষে দুঃখিত হইয়াছি, আর লঙ্গাপ্রযুক্ত সৈন্যদিগকে পরিত্যাগ করিয়া অমুক পৰ্ব্বতে বাস করিয়ছিলাম, তথায় দিব রাত্রি চীৎকারপূৰ্ব্বক ক্ৰন্দন করিতাম, এক্ষণে আমার ভাগ্য প্রসন্ন হইয়াছে, এমনদেশের হাতুেমু নামক একব্যক্তি শাহ আবাদ হইতে ঐ লাতশৃপক্ষীর ডিম্বের তত্ত্বে আগমন করেন, জগদীশ্বরের ইচ্ছায় তিনি সেই পৰ্ব্বতে উপস্থিত হইয় আপন হইতে আমাকে আমার বৃত্তান্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, আমি র্তাহাকে আপন তাবৎ বৃত্তান্ত বলিলাম, তিনি আমার বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়৷ আমার সঙ্গে এৰূপ প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন যে, যদি জগদীশ্বর করেন, তবে মহএয়ার-সোলেমানীর হস্ত হইতে সেই জলচর পক্ষীর ডিম্বস্বৰূপ মুক্ত লইয়। তাহার কন্যা তোমাকে দিব। তাহার পিতামাত। এই কথাশ্রবণে হাস্য করিয়া বলিলেন, হে পুত্ৰ ! অদ্যাপি তোমার অজ্ঞানতা ও শিশুবুদ্ধি যায় নাই; যখন পরীজাতির। তাছার প্রশ্নের উত্তর করিতে পারে নাই, তখন সেই অনুপায়-মনুষ কিৰূপে পরীদিগের কৌশল জানিবে যে, তাছার প্রশ্নের উত্তর করিতে পরিবে? মেহেরওয়ার কহিলেন, সেই মনুষ্য অত্যন্ত বুদ্ধিমান, তিনি সকল কৌশল জ্ঞাত আছেন, এই জন্য আমার বিশ্বাস হইয়াছে, এখন আমি তাহাকে বরজখের নদীর তীরে রাখিয়া এই প্রার্থনায় মাসিয়াছি যে, আপনি সৈন্য প্রদান করুন, আমরা বরূজখের চড়ায় যাই। পরে ভুমানি-রাজ দ্বাদশ সহস্র পরীসৈন্য আপন পুত্রের সঙ্গে দিলেন ।