পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮৯ হাতেই তায়ি। হের বস্ত্রে ও স্বর্ণরত্বের অলঙ্কারে ভূষিত করিয়া ও সুগন্ধি-ভ্ৰব্যসংযুক্ত করিয়া এই প্রান্তরে আনয়ন করেন। আর ঐ সৰ্প সুন্দর মনুষ্যের আকৃতি হইয় প্রত্যেক শুিবিরে ভ্রমণ করে, তন্মধ্যে যে কন্যা বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া থাকে, এবং যাহাকে তাহার মনোনীত হয়, তাছাকে লইয়া যার ; এই জন্যই আমরা সকলে আমোদ করিতেছি। আর তাহার আসিবার দিন নিকট হুইয়াছে, তাহার আগমনের পর দিনে সকলে বক্ষে করাঘাত করিয়া রোদন করিবে এবং সাতদিন শোকযুক্ত থাকিবে, অর্দ্য সেই সৰ্পের আসিবার দিন। হাতেম বিবেচনা করিলেন ষে, ইহ। জিনজাতির কৰ্ম্ম, পরে বলিলেন হে বন্ধুসকল ! এ আমোদই তোমাদিগের শোক, আর সেই সৰ্পই বিপদ হইয়াছে, তাহারা সকলে বলিল আমাদিগের কোন উপায় নাই, আর এমন কে'লাছে যে তাহাকে দূর করে । হাতেম বলিলেন তোমরা নিশ্চিন্ত থাক, যদি জগদীশ্বর করেন, তবে অদ্য রাত্রিতে আমি তোমাদিগের মস্তক হইতে এ বিপদৃকে দুর করিব । মনুষ্যেরা এই কথা শুনিয়া আপন আপন কৰ্ত্তার নিকটে সংবাদ দিল, এবং হাতেম্কে রাজার নিকটে লইয়া গেল। রাজা হাতেম্কে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে যুবক : তুমি জান এ কি বিপদ ? হাতেম্ বলিলেন আমি জানি সে জিন, জিনজাতির যখন অত্যাচার করিতে ইচ্ছা করে, তখন আপনাদিগের কর্তার আজ্ঞার বহির্ভূত কৰ্ম্ম করিয়া মনুষ্যকে ক্লেশ দেয়। রাজা কছিলেন, হে যুবক ! যদি তোমার রূপায় এ বিপদ আমাদিগের মস্তক হইতে দূর হয়, তবে অত্যন্ত অনুগ্রহ, হাতেম্বলিলেন, হে রাজন আমি জগদীশ্বরের পথে এই কৰ্ম্ম করিতেছি, ইহাতে কাহারে প্রতি আমার উপকার করা হইবে না, পরে বলিলেন হে প্রিয়সকল ! আমি তোমাদিগকে যাহা বলি যদি তোমরা