পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম প্রশ্নপূরণের গল্প। <६१ হাতেম বলিলেন, হে মনোমোহিনি ! আমিত চুরি করি নাই, আর সাহসিক ব্যক্তির পলাইয়া যাওয়া উচিত নহে, ঈশ্বর যাহা করিবেন তাহাই হইবে , মলকা-হসনলঅমৃসাল বলিলেন, তবে তোমার যাহা ইচ্ছ। তাঁহাই কর । ইতিমধ্যে রাজার সৈন্য সকল প্রকাশ হইয়। যখন নিকটে উপস্থিত হইল, তখন হাতে জগদীশ্বরকে স্মরণ করিয়া প্রস্তরখণ্ডে দৃষ্টিপাত-পূৰ্ব্বক দেখিলেন, তাহাতে এৰূপ লেখা ছিল যে, “হে যুবক তুমি সৈন্যদিগকে এই কথা বল যে, সোলেমানপয়গম্বরের রূপায় তোমাদিগের দেহে অগ্নি পত্তি হউক “যখন হাতেম্ এই কথা বলিলেন, তখন সৈন্যদিগের অগ্রগামী দৈত্যের শরীরে আপনাআপনি অগ্নি জ্বলিয়া উঠিল, তাহাতে সে দৈত্য শব্দ করিয়া বলিল, হে বন্ধুসকল ! আমি দগ্ধ হইতেছি, ইহাতে অন্যান্য দৈত্যের দ্রুতবেগে তাহার নিকটে আসিয়া অগ্নি নিবাণ করিবার জন্য চেষ্টা করিতে লাগিল, কিন্তু অগ্নি নিৰ্ব্বাণ হইল না, এবং ক্রমে তাহাদিগের শরীরেরও অগ্নি জ্বলিয়া উঠিলে সকলেই দগ্ধ হইতে লাগিল। এই সংবাদ জমৃশেদ-রাজার নিকটে গেলে তিনি ইহা শুনিয়া অত্যন্ত ভীত হইলেন । দৈত্যদিগের মধ্যে মহা-কেলাকুল হইতে লাগিল, ক্রমে ক্রমে পাঁচ সহস্র সৈন্য দগ্ধ হইয়া গেলে, যে হস্তীর উপরে রাজা আরোহণ করিয়াছিলেন, সেই হস্তীর দেহে অগ্নি যাইয়া লাগিল ; তাহাতে রাজা হস্তীর উপর হইতে লম্ফ দিয়া পরী-সৈন্যদিগের মধ্যে উপস্থিত হইলেন, এবং মূখন দেখিলেন যে, এ অগ্নি হইতে কোনমতেই পরিত্রাণ পাওয়া যাইবে না, তখন অনুপায় হওত গলায় কুড়ালি বধিয়া হস্ত বন্ধন-পুৰ্ব্বক হাতেমের নিকট গমন করিলেন, এবং দূর হইতে ভূমিষ্ঠমস্তকে প্রণাম করিয়া বলিলেন যে,