পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রশ্ন পুরণের গপে । 4》 করেন, আমরা সে সময় নিকটে থাকি না, হাতেম্বলিলেন, দেখি । আমার মৃত্যু আমাকে অনিয়াছে, কি জীবন আনিয়াছে ? পরে । হাতেমের নিকটে খাদ্যদ্রব্য আনিলে হাতেম বলিলেন, যখন তোমার কৰ্ম্ম নির্বাহ করিব, তখন তোমীর খাদ্য ভোজন করিব, এক্ষণে তোমার খাদ্য আমার অখাদ্য, অন্যের কৰ্ম্ম সমাধা না, করিয়া যে উদর পূর্ণ করির ভোজন করা ও প্রাণকে পালন করা : ইহা বিবেচনার বহির্গত। ধাত্রী বলিল, হে যুবক : জানা গেল, তোমার হস্তে কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ হইবে, কেন না তুমি বিবেচক আছ। যখন রাত্রি হইল তখন ভৃত্যগণ দৃঢ়ৰূপে দ্বার বদ্ধ করিয়া ভবন হইতে অন্য স্থলে গেল ! এক প্রহর রাত্রি গত হইলে কন্যা পাগলিনী কহয় যথেচ্ছ বাক্য বলিতে লাগিল, যখন ক্ষান্ত হইল, তখন । হাতেমের প্রতি বলিল, হে যুবক ! তোমার কি প্রাণের ভয় নাই যে অপরিচিত ব্যক্তি হইয়। এখানে আসিলে ? যদি আসিয়াছ তবে তিন প্রশ্ন আছে, তাহার উত্তর দাও । হাতে বলিলেন, কি প্রশ্ন বল, কন্যা কহিল, সে কোন নদীর বিন্দু, যাচাতে প্রাণ জন্মে ? হাতেম্ বলিলেন, সে শুক্র, মনুষ্য-দেহে আছে, তাকাতেই মনুষ্য জন্মে। কন্যা পুনর্বার বলিল, সে কোন ফল, যাহা অতি । মিষ্ট এবং সমস্ত প্রাণী যাহাকে মিন্ট জানে, আর সকলেই যাহাকে স্নেহ করে ? হাতেম বলিলেন, সে পুত্র । কন্যা পুনবর্বর বলিল, সে কি দ্রব্য, যাহাকে কেহই প্রার্থনা করে না ? হাতেম বলিলেন সে মৃত্যু, কেহই তাহাকে প্রার্থনা করে না । কন্য মতশিরে কম্পিত হইয়া শষ্য হইতে ভূমিতে পড়িল । পরে একটি কৃষ্ণসৰ্প কন্যার কুক্ষি হইতে প্রাঙ্গন-মধ্যে প্রকাশ । হইয় হাতেমের প্রতি ধাবমান হইল। যখন হাতেম্ দেখিলেন, । যে কৃষ্ণদৰ্প প্রাঙ্গনে প্রকাশ হইল, তখন মনে মনে ভাবিলেন,