পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8 হাতেম্ তায়ি । আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন, তৃতীয় প্রশ্ন পূরণ করিয়া তোমাকে তোমাৱ প্রিয় দিতেছি, পরে বিদায় গ্রহণে জগদীশ্বরের উপর নির্ভর করিয়া পথে চলিলেন । অনন্তর এক, বৃক্ষতলে বসিয়া ভাবিতে লাগিলেন যে, দৈত্যদিগের রাজা ফরোকাশের নিকটে যাইয়া মাহ পরীর বাসস্থান জিজ্ঞাসা করি, পরে তিনি গৰ্ত্তের নিকটে অসিয়া গৰ্ত্তে প্রবেশ করিলেন । সপ্তাহ পরে গর্তের শেষে উপস্থিত হইলে সেই বৃহৎ প্রান্তর দৃষ্টিগোচর হইল, যে গ্রামে প্রথমে বাস করিয়াছিলেন, তথায় উপস্থিত হইলেন । দৈত্যগণ চতুৰ্দ্দিকৃ হইতে ধাবমান হইয়। হাতেম্কে চিনিল, পরে আপন গ্রাসে আনিয়া সম্মানের সহিত বসাইল এবং ভোজন করাইল, তৎপরে অন্য গ্রামে উপস্থিত করিয়া দিল । রাজা হাতেমের সংবাদ শ্রবণে অগ্রসর হইয়া বহু সম্মানে তাহাকে নিজ ভবনে আনয়ন পূর্বক সিংহাসনে বসাইলেন এবং নানাপ্রকার ভোজ্য ভোজন করাইয়। আমোদ প্রমোদ করিলেন । পরে জিজ্ঞাসা করিলেন, আগমনের কারণ কি ? হাতেম বলিলেন, মাহপরীর হস্তের গুটিকার জন্য জাসিরছি, ক্ষরে কাশ্ব দুই দণ্ডকাল নতশিরে রছিলেন, হাতেমৃ বলিলেন হে রাজন। এৰূপ চিন্তার কারণ কি ? ফরে কাশ্ব মস্তক উত্তোলন করিয়া বলিলেন হে যুবক | মাহপরীর হস্তের গুটিকা লইতে দৈত্যগণের সাধ্য নাই, এবং তথtয় গমন করিতে ও তথ৷ হইতে জীবিত আসিতেও সাধ্য নাই । তুমি কিপ্রকারে যাইবে? এবং পুনৰ্ব্বার জীবিত আসিবে ? হাতেম্ বলিলেন যিনি আমাকে এস্থানে আনিয়াছেন,তিনিই তথায় উত্তীর্ণকরিয়া দিবেন এবং জীবিত আনিবেন, কিন্তু তোমাদিগের এক ব্যক্তি আমাকে পথ প্রশন করুক, যাচাতে আমি পথ বিস্মৃত না হই, ফরোকাশ বলিলেন, হে হাতেম্ ! যদি ভুমি এই ইচ্ছা মন হইতে দূর কর,