এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অভ্যর্থনা
সাতুখুড়োব প্রবেশ
সাতুখুড়ো। এই যে, অনেক দিনের পর দেখা।
চতুর্ভুজ। তা আর হবে না। কতগুলো এক্জামিন―
সাতুখুড়ো। এই বেড়ালটি―
চতুর্ভুজ। (সরোষে) আমি বাড়ি চললেম।
প্রস্থানোদ্যম
সাতুখুড়ো। আরে শুনে যাও না― এ বেড়ালটি―
চতুর্ভুজ। না মশায়, বাড়িতে কাজ আছে।
সাতুখুড়ো। আরে একটা কথার উত্তরই দাও না― এ বেড়ালটি—
কোনো উত্তর না দিয়া হনহন বেগে চতুর্ভুজেব প্রস্থান
সাতুগুডো। আ মোলো। ছেলেপুলেগুলো লেখাপড়া শিখে ধনুর্ধর হয়ে ওঠেন। গুণ তো যথেষ্ট― অহংকার চার পোয়া।
প্রস্থান
দ্বিতীয় দৃশ্য
চতুর্ভুজের বাটীর অন্তঃপুর
দাসী। মাঠাকরুন, দাদাবাবু একেবারে আগুন হয়ে এসেছেন।
মা। কেন রে?
দাসী। কী জানি বাপু।
চতুর্ভুজের প্রবেশ
ছোটো ছেলে। দাদাবাবু, এ বেড়ালটি আমাকে―
চতুর্ভুজ। (তাহাকে এক চপেটাঘাত) দিন রাত্রি কেবল বেড়াল বেড়াল বেড়াল!
১৩