পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রােগের চিকিৎসা

 পিতা। তুই খোঁড়াচ্ছিস যে!

হারাধনের মাথা-চুলকন

 পিতা। (সরোষে) পা ভাঙলি কী করে!

 হারাধন। (সভয়ে) আজ্ঞে, আমি ইচ্ছে করে ভাঙিনি।

 পিতা। তা তো জানি। কী করে ভাঙল সেইটে বল্ না।

 হারাধন। জানিনে বাবা!

 পিতা। তোর পা ভাঙল তুই জানিসনে তো কি ও-পাড়ার গোবরা তেলি জানে।

 হারাধন। কখন ভাঙল টের পাইনি বাবা।

 পিতা। বটে। এই লাঠির বাড়ি তোর মাথাটা ভাঙলে তবে টের পাবি বুঝি!

 হারাধন। (তাড়াতাড়ি হাত দিয়া মাথা আড়াল করিয়া) না বাবা। ওই মাথাটা বাঁচাতে গিয়েই পা’টা ভেঙেছি।

 পিতা। বুঝেছি। তবে বুঝি সেদিনকার মতো ডাক্তার সাহেবের বাড়িতে হাঁসের ডিম চুরি করতে গিয়েছিলি, তাই তারা মেরে তোর পা ভেঙে দিয়েছে।

 হারাধন। (চোখ রগড়াইতে রগড়াইতে) হাঁ বাবা। আমার কোনো দোষ নেই। পা আমি নিজে ভাঙিনি, পা তারাই ভেঙে দিয়েছে।

 পিতা। লক্ষ্মীছাড়া, তোর কি কিছুতেই চৈতন্য হবে না।

 হারাধন। চৈতন্য কাকে বলে বাবা?

 পিতা। চৈতন্য কাকে বলে দেখবি?

পিঠে কিল মারিয়া

 চৈতন্য একে বলে।

১৭