পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রােগের চিকিৎসা

 হারাধন। আজ্ঞে।

 পিতা। তোর পেট হঠাৎ অমন ফুলে উঠল কী করে?

 হারাধন। বাবা, কাল সেই তালের বড়া খেয়ে।

 পিতা। অমন ক্যাঁক ক্যা হচ্ছে কেন?

 হারাধন। পেটের ভিতর লো ডাকছে।

 পিতা। দেখি, পেটে হাতদিয়ে দেখি।

 হারাধন। (শশব্যস্তে) ছুঁয়ো না, ছুঁয়ো না, বড্ড ব্যথা হয়েছে।

পেটের মধ্যে ক্যাঁক ক্যাঁক

 পিতা। (স্বগত) সব বোঝা গেছে। হতভাগাকে জব্দ করতে হবে। (প্রকাশ্যে) তোমার রোগ সহজ নয়। এস বাপু, তোমাকে হাঁসপাতালে নিয়ে যাই।

 হারাধন। না বাবা, এমন আমার মাঝে মাঝে হয়, আপনি সেরে যায়।

ক্যাঁক ক্যাঁক ক্যাঁক

 পিতা। কইরে, এ তো ক্রমেই বাড়ছে। চল্ আর দেরি নয়।

টানিয়া লইয়া প্রস্থান

তৃতীয় দৃশ্য

হারাধন। পিতা ও মাতা

 মা। (কাঁদিতে কাঁদিতে) বাছার আমার কী হল গা।

 পিতা। হাঁগো, তুমি বেশি গোল কোরো না। হাসপাতালে নিয়ে গেলেই এ ব্যামো সেরে যাবে।

 মা। আমি বেশি গোল করছি, না তোমার ছেলের পেট বেশি

১৯