চিন্তাশীল
নরহরি। ছি দিদিমা, সুর্য তো অস্ত যায় না। পৃথিবীই উলটে যায়। রোসো আমি তোমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
চারিদিকে চাহিয়া
একটা গোল জিনিস কোথাও নেই?
দিদিমা। এই তোমার মাথা আছে— মুণ্ডু আছে।
নরহরি। কিন্তু মাথা যে বদ্ধ, মাথা যে ঘোরে না।
দিদিমা। তোমারই ঘোরে না, তোমার রকম দেখে পাড়াসুদ্ধ লোকের মাথা ঘুরছে। নাও আর তোমায় বোঝাতে হবে না, এদিকে ভাত জুড়িয়ে গেল, মাছি ভন ভন্ করছে।
নরহরি। ছি দিদিমা, এটা যে তুমি উল্টো কথা বললে; মাছি তো ভন ভন্ করে না। মাছির ডান থেকেই এই রকম শব্দ হয়। রোসো আমি তোমাকে প্রমাণ করে দিচ্ছি —
দিদিমা। কাজ নেই তোমার প্রমাণ ক’রে।
প্রস্থান
দ্বিতীয় দৃশ্য
নরহরি চিন্তামগ্ন। ভাবনা ভাঙাইবার উদ্দেশ্যে নরহরির শিশু
ভাগিনেয়কে কোলে করিয়া মাতার প্রবেশ
মা। (শিশুর প্রতি) জাদু, তোমার মামাকে দণ্ডবৎ করো।
নরহরি। ছ মা, ওকে ভুল শিখিয়ো না। একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবে, ব্যাকরণ অনুসারে দণ্ডবৎ করা হতেই পারে না— দণ্ডবৎ হওয়া বলে। কেন বুঝতে পেরেছ মা? কেননা দণ্ডবৎ মানে—
মা। না বাবা, আমাকে পরে বুঝিয়ে দিলেই হবে। তোমার ভাগনেকে এখন একটু আদর করো।