দ্বিতীয় দৃশ্য
দুকড়ি। এ তো বড়ো মজাই হল! কাঙালিচরণ বলে কে একজন লোক ইংরেজি বাংলা সমস্ত খবরের কাগজে লিখে পাঠিয়েছে যে আমি তাদের “গানোন্নতিবিধায়িনী” সভায় পাঁচ হাজার টাকা দান করেছি। দান চুলোয় যাক, গলাধাক্কা দিতে বাকি রেখেছি। মাঝের থেকে আমার খুব নাম রটে গেল— এতে আমার ব্যাবসার পক্ষে ভারি সুবিধে। তাদেরও সুবিধে, লোকে মনে করবে, যখন পাঁচ হাজার টাকা দান পেয়েছে তখন অবিশ্যি মস্ত সভা। পাঁচ জায়গা থেকে ভারি ভারি চাঁদা আদায় হবে। যা হোক আমার অদৃষ্ট ভালো।
কেরানি। মশায় তবে গানোন্নতি সভায় পাঁচ হাজার টাকা দান করেছেন?
দুকড়ি। (মাথা চুলকাইয়া হাসিয়া) আ— ও একটা কথার কথা। শোন কেন? কে বললে দিয়েছি? মনে করো যদি দিয়েই থাকি, তা হয়েছে কী। এত গোলের আবশ্যক কী।
কেরানি। আহা কী বিনয়। পাঁচ হাজার টাকা নগদ দিয়ে গোপন করবার চেষ্টা, সাধারণ লোকের কাজ নয়।
ভৃত্য। নিচের ঘরে বিস্তর লোক জমা হয়েছে।
দুকড়ি। (স্বগত) দেখেছ! এক দিনেই আমার পসার বেড়ে গেছে। (সানন্দে) একে একে তাদের উপরে নিয়ে আয়— আর পান-তামাক দিয়ে যা।