পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
খ্যাতির বিড়ম্বনা

তাড়াতাডি চৌকি-উল‌টায়ন, কালি-ফেলন, প্রথম ব্যক্তিব
বেগে প্রস্থানোদ্যম, পতন, উত্থান, গোলমাল

দ্বিতীয় ব্যক্তিব প্রবেশ

 দুকড়ি। কী চাই?

 দ্বিতীয়। মহাশয়ের দেশবিখ্যাত বদান্যতা –

 দুকড়ি। ও-সব হয়ে গেছে —হয়ে গেছে— নতুন কিছু থাকে তো বলুন।

 দ্বিতীয়। আপনার দেশহিতৈষিতা—

 দুকড়ি। আ মোলো— এও যে সেই কথাটাই বলে!

 দ্বিতীয়। স্বদেশের সদনুষ্ঠানে আপনার সদনুরাগ—

 দুকড়ি। এ তে বিষম দায় দেখি। আসল কথাটা খুলে বলুন।

 দ্বিতীয়। একটা সভা—

 দুকড়ি। আবার সভা!

 দ্বিতীয়। এই দেখুন না খাতা।

 দুকড়ি। খাতা! কিসের খাতা!

 দ্বিতীয়। চাঁদা আদায়—

 দুকড়ি। চাঁদা! (হাত ধরিয়া টানিয়া) ওঠো, ওঠো, বেরোও, বেরোও— প্রাণের মায়া থাকে তো—

দ্বিরুক্তি না করিয়া চাঁদাওয়ালাব প্রস্থান তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ

 দুকড়ি। দেখো বাপু, আমার দেশহিতৈষিতা বদান্যতা বিনয় এ-সমস্ত শেষ হয়ে গেছে— তার পর থেকে আরম্ভ করো।

 তৃতীয়। আপনার সার্বভৌমিকতা– সর্বজনীনতা— উদারতা—

৪১