পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হাস্যকৌতুক

 রামচরণ। একরকম আছে বটে কিন্তু সেখানে স্বার্থত্যাগ শিক্ষা হয় না।

 দৌলত। (ভীতভাবে) কানাই!

 কানাই। আপনার উপদেশ উনি যে-রকম দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করেছেন ওঁকে বোধ হয় নড়ানো শক্ত হবে।

নিতাইয়ের প্রবেশ

 নিতাই। দাদা, চাকরি ছেড়ে এলুম, নইলে তোমার যে নিন্দে হয়। কে আছিস রে। ঝট করে দুটো ডাব পেড়ে নিয়ে আয় তো। বড়ো পিপাসা লেগেছে।

নদেরচাঁদের প্রবেশ

 নদেরচাঁদ। এই লও খুড়ো, আমার সমস্ত স্বার্থ বিসর্জন দিতে এসেছি। এই আমার ভাঙা বোকনা, থেলো হুঁকো আর এই বেড়ালছানাটি। মধ্যে ও-দুটো পৈতৃক সম্পত্তি, বেড়ালছানা আমার স্বোপার্জিত। আর আমায় দোষ দিতে পারবে না, তোমার এখানেই আমি লেগে রইলুম।

দরজির প্রবেশ

 দৌলত। তুমি আমার কে হও বাপু?

 দরজি। আজ্ঞে আমি দরজি, আপনার গায়ের মাপ নিতে এসেছি।

 দৌলত। এখন যাও টানাটানির সময়, এখন আমি কাপড় করাতে পারব না।

 নদেরচাঁদ। খলিফাজি, যাও কোথায়। আমার গায়ের মাপটা নেও। খুড়োর গায়ে যে-রকম ফুলকাটা ছিটের জামা দেখছি অমনি ছ-জোড়া হলেই আমার চলে যাবে। যদি বেশ ভালো রকম করে

৫৬