পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

একান্নবর্তী

ফলমূলমিষ্টান্ন লইয়া ভৃত্যের প্রবেশ

 ভৃত্য। (দৌলতকে) আপনার জলখাবার।

 দৌলত। (সরোষে) বেটা, তোকে এখানে কে খাবার আনতে বলেছে। বাড়ির ভিতর নিয়ে যা।

 পরেশ। বিলক্ষণ, তাতে দোষ হয়েছে কী!

ভৃত্যের প্রতি

 ওরে তুই দিয়ে যা, এদিকে দিয়ে যা।

থালা লইয়া আহার আরম্ভ

চুলের মুঠি ধরিয়া বিধুভূষণকে লইয়া দুই স্ত্রীলোকের প্রবেশ

 প্রথমা। পোড়ারমুখো, তোমার মরণ হয় না?

 দৌলত। (শশব্যস্তে) এঁরা কে।

 জয়নারায়ণ। বাবা ব্যস্ত হয়ো না, আমার সেই খুড়তুতো ভাই এসে পৌঁচেছেন।

 প্রথমা। ও আবাগের বেটা ভূত।

 দ্বিতীয়া। মার্ ঝাঁটা, মার্ ঝাঁটা

 দৌলত। ভাই কানাই।

 কানাই। সহিষ্ণুতা শিক্ষার এমন উপায় আর কী আছে।

 প্রথমা। মিনসে বুড়োবয়সে আক্কেল খুইয়ে বসেছে।

 দ্বিতীয়া। ওগো এত লোকের এত স্বামী মরছে যমরাজ কী তোমাকেই ভুলেছে।

 দৌলত। বাছারা একটু ঠাণ্ডা হও।

 উভয়ে। ঠাণ্ডা হব কিরে মিনসে। তুই ঠাণ্ডা হ, তোর সাত পুরুষ ঠাণ্ডা হয়ে মরুক।

৫৯