পাতা:হাস্যকৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হাস্যকৌতুক

 নন্দ। তাই তো, রামজে সায়েবকে তো ভুলেছিলুম।

 কৃষ্ণ। নারায়ণ, নারায়ণ।

 চন্দ্র। নন্দ, লেখো তো, নোরান সায়েবের নামটা লেখো তো।

স্কন্দকিশোরের প্রবেশ

 স্কন্দ। বা, তোমরা বেশ তো। আসল কাজটাই তো বাকি।

 চন্দ্র। কী বলো তো।

 স্কন্দ। ঘাটে যাবার প্রোসেশ্যনে যারা যোগ দেবে তাদের তো আগে থাকতে খবর দেওয়া চাই।

 কৃষ্ণ। বাবা, কোনটা আসল হল। আগে তো মরতে হবে, তার পরে―

 চন্দ্র। সে জন্য ভাবনা নেই। ডাক্তার।

 ডাক্তার। আজ্ঞে।

 চন্দ্র। বাবার আর কত বাকি। সাধারণকে কখন আসতে বলব?

 ডাক্তার। বোধ হয়—

রমণীদের রোদন

 স্কন্দ। (বিরক্ত হইয়া) মা, তুমি তো ভারি উৎপাত আরম্ভ করলে। আগে কথাটা জিজ্ঞাসা করে নিই। কখন, ডাক্তার?

 ডাক্তার। বোধ হয় রাত্রি―

রমণীদের পুনশ্চ ক্রন্দন

 নন্দ। এ তো মুশকিল হল। কাজের সময় এমন করলে তো চলে না। তোমাদের কান্নায় ফল কী? আমরা বড়ো বড়ো সায়েবদের কাঁদুনি চিঠি কাগজে ছাপিয়ে দেব।

রমণীগণকে বহিস্করণ

 স্কন্দ। ডাক্তার, কী বোধ হচ্ছে?

৭৮