অন্ত্যেষ্টি-সৎকার
ডাক্তার। যে-রকম দেখছি আজ রাত্রি চারটের সময়েই বা হয়ে যায়।
চন্দ্র। তবে তো আর সময়― নন্দ যাও ছুটে যাও, স্লিপগুলো দাঁড়িয়ে থেকে ছাপিয়ে আনো।
ডাক্তার। কিন্তু ওযুধটা আগে―
স্কন্দ। আরে, তোমার ডাক্তারখানা তো পালিয়ে যাচ্ছে না। প্রেস বন্ধ হলে যে মুশকিলে পড়তে হবে।
ডাক্তার। আজ্ঞে, রুগি যে ততক্ষণে―
চন্দ্র। সেই জন্যই তো তাড়াতাড়ি― পাছে স্লিপ ছাপার আগেই রুগি―
নন্দ। এই আমি চললুম।
স্কন্দ। লিখে দিয়ো কাল আটটার সময় প্রোসেশ্যন আরম্ভ হবে।
দ্বিতীয় দৃশ্য
স্কন্দ। কই ডাক্তার, চারটে ছেড়ে সাতটা বাজল যে।
ডাক্তার। (অপ্রতিভ ভাবে) তাই তো, নাড়ী এখনো বেশ সবল আছে।
চন্দ্র। বা, তুমি তো বেশ ডাক্তার। আচ্ছা বিপদে ফেলেছ।
নন্দ। ওষুধটা আনতে দেরি করেই বিপদ ঘটল। ডাক্তারের ওষুধ বন্ধ হয়েই বাবা বল পেয়েছেন।
কৃষ্ণ। এতক্ষণ তোমরা প্রফুল্ল ছিলে হঠাৎ বিমর্ষ হলে কেন? আমি তো ভালোই বোধ করছি।
স্কন্দ। আমরা যে ভালো বোধ করছি নে। ঘাটে যাবার এন্গেজমেণ্ট যে করে বসেছি।
৭৯