অন্ত্যেষ্টি-সৎকার
গুলাে পড়ুন। (হাতে হাতে বিলি) এটা ল্যামবার্টের, এটা হ্যারিসনের, এটা সার জেমস―
স্কন্দকিশােরে প্রবেশ
স্কন্দ। এই নিন ততক্ষণে কাগজে বাবার মৃত্যুর বিবরণ পড়ুন। এই স্টেটসম্যান, এই ইংলিশম্যান?
মধুসূদন। (যাদবের প্রতি) দেখছ ভাই, বাঙালি পাংচুয়ালিটি কাকে বলে জানে না।
ইন্দ্র। ঠিক বলেছেন। মরবে তবু পাংচুয়াল হবে না।
খববের কাগজ ও কনডােলেন্স্ পত্র পড়িতে পড়িতে অভ্যাগতগণের অশ্রুপাত
রাধামােহন। (সজল নেত্রে) হরি হে দীনবন্ধু।
নয়ানচাঁদ। হায়, হায়, এমন লােকেরও এমন বিপদ ঘটে।
নবদ্বীপচন্দ্র। (সনিশ্বাসে) প্রভু তােমারই ইচ্ছা।
রসিক। “হৃদয়বৃন্তে ফুটে যে কমল”—তার পরে কী ভুলে যাচ্ছি―
“হৃদয়বৃন্তে ফুটে যে কমল
তাহারে কাল অকালে ছিঁড়িলে, হৃদয়
মৃণাল ডুবে শোকসাগরের জলে।”
এও ঠিক তাই। হৃদয়-মৃণাল শােকসাগরের জলে। আহা।
আডি এস্কোয়ার। O tempora, O mores!
তর্কবাগীশ। চলচ্চিত্তং চলদ্বিত্তং চলজ্জীবন—হায় হায় হায়!
ন্যায়বাগীশ। যদুপতেঃ ক্ক গতা মথুরাপুরী, রঘুপতেঃ―(কণ্ঠরোধ)
দুঃখীরাম। হা কৃষ্ণকিশাের বাহাদুর, তুমি কোথায় গেলে।
নেপথ্য হইতে ক্ষীণকণ্ঠ। আমি এইখানেই আছি, বাবা। দোহাই, তােরা অত চেঁচাস নে।
৮১