রসিক
দামোদর। এ ভারি মজা। এটা আপনাকে লিখতে হচ্ছে। আমাদের কাগজে লিখুন।
চিন্তামণি। রসিকবাবু এটা লিখে ফেলুন।
তিনকড়ি। ধীরাজবাবু বুঝেছেন?
ভোলা। পেত্নী কেন বললেন বুঝেছেন? যেমন ভেগ্নী তেমনি পেত্নী। হা হা হা।
নেপাল। ওর মজাটা বোঝেন নি ধীরাজবাবু! আসল কথাটা পত্নী। কিন্তু রসিকবাবু―
ধীরাজ। দোহাই, আমাকে আর বেশি বুঝিয়ো না।
ভোলা। কোন্ ভদ্রলোকের ঘর লক্ষ্য করে বলা হয়েছে বোঝেন নি বলে ধীরাজবাবু হাসছেন না।
ধীরাজ। বুঝতে পেরেছি বলেই হাসছি নে। আমিও যে ভদ্রলোক, আমারও স্ত্রী কন্যা ভগ্নী আছে।
রসিক। তোমরা যখন বলছ তখন অবশ্যই লিখব। কিন্তু এ সব চণ্ডমুণ্ডবধের পালা, একেবারে সারেগামাপাধানি; তেরেকেটে মেরেকেটে ছাড়া কথা নেই। ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া আর কি। বুঝেছ?
সকলে। বুঝেছি বই কি। হা হা হো হো!
তিনকড়ি। বুঝেছেন ধীরাজবাবু?
ধীরাজ। কিচ্ছু বুঝি নি।
নেপাল। ধীরাজবাবু বুঝেছেন তো?
ধীরাজ। না বাপু, কথাগুলো কী বলে গেলেন বুঝলুম না।
তিনকড়ি। কথা নেই বুঝলেন, ওর মজাটা তো বুঝেছেন? কথা তো আমরাও বুঝি নি।
৮৫