পাতা:হাস্য-কৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হাস্য-কৌতুক

 তিনকড়ি।  ছী ছি। আমার বাবা আমাকে বলে বটকৃষ্ণ, মোধোর বাবা মোধোকে বলে বটকৃষ্ণ,—তোমার বাবা তোমাকে কিচ্ছু বলে না। ছী ছি। (পার্শ্বে উপবেশন)

 বনমালী।  (সগর্ব্বে) বাবা আমাকে বলে ভুতু।

 তিনকড়ি।  আচ্ছা ভুতুবাবু তোমার ডান হাত কোন্‌টা বল দেখি!

 বনমালী।  (ডান হাত তুলিয়া) এইটে ডান হাত!তিনকড়ি।{

 তিনকড়ি।  আচ্ছা তোমার বাঁ হাত কোন্‌টা বল দেখি!

 বনমালী।  (বাম হাত তুলিয়া) এইটে!

 তিনকড়ি।  (খপ্ করিয়া পাত হইতে একটা সন্দেশ তুলিয়া নিজের মুখের কাছে ধরিয়া) আচ্ছা ভুতুবাবু এইটে কি বল দেখি!

(বনমালীর শশব্যস্ত হইয়া কাড়িয়া লইবার চেষ্টা)

 তিনকড়ি।  (সরোষে পৃষ্ঠে চপেটাঘাত করিয়া) এতবড় ধেড়ে ছেলে হলি, এইটে কি জানিস্‌নে! এটা সন্দেশ। এটা খেতে হয়। (তিনকড়ির মুখের মধ্যে সন্দেশের দ্রুত অন্তর্ধান)

 বনমালী।  (পৃষ্ঠে হাত দিয়া) ভ্যাঁ—

 তিনকড়ি।  ছি ছি ভুতুবাবু, তোমার জ্ঞান হবে কবে বল দেখি? এইটে জাননা যে, পেটে খেলে পিঠে সয়?

(আরেকটা সন্দেশ মুখের ভিতর পূরণ)

 বনমালী।  (দ্বিগুণ বেগে) ভ্যাঁ—

 তিনকড়ি।  তবে, তুমি কি বল পেটে খেলে পিঠে সয় না? এই দেখনা কেন, পেটে খেলে (আরেকটা সন্দেশ খাইয়া) পিঠে সয়। (বনমালীর পৃষ্ঠে চপেটাঘাত) সয় না?

 বনমালী।  (সরোদনে চীৎকার পূর্ব্বক) না ন্না ন্না।

 তিনকড়ি।  (শেষ সন্দেশটি নিঃশেষ করিয়া) তা হবে! তোমার