তা হলে সয় না দেখ্চি! যার যেমন ধাত! তবে থাক্, তবে আর কাজ নেই। তবে এই স্থির হল কারো বা পেটে সমস্তই সয়, কারো বা পিঠে কিছুই সয় না! যেমন আমি আর তুমি।
পিতা। কিরে ভুতু কাঁদ্চিস্ কেন?
তিনকড়ি। (বনমালীর পৃষ্ঠে হাত বুলাইয়া অতি কোমল স্বরে) বাবা জিগ্গেস্ কর্চেন, কথার উত্তর দাও!
বনমালী। (সরোদনে) আমাকে মেরেচে!
তিনকড়ি। আজ্ঞে, পাড়ার একটা ডানপিটে ছেলে খামকা মেরে গেল, বেচারার কোন দোষ নেই— সন্দেশগুলি খেয়ে ভুতুবাবু ঠোঙাটি নিয়ে খেলা কর্ছিল—
পিতা। (সরোষে) ভুতু কে মেরেচেরে?
বনমালী। (তিনকড়িকে দেখাইয়া) ও মেরেচে!
তিনকড়ি। আজ্ঞে হাঁ, আমি তাকে খুব মেরেচি বটে! কার না রাগ হয় বলুন দেখি! ছেলেমানুষ খেলা কর্চে—খামকা ওকে মেরে ওর ঠোঙাটা কেড়ে নেও কেন বাপু? আপনি থাক্লে আপনিও তাকে মার্তেন।
পিতা। আমি থাক্লে তার দুখানা হাড় একত্তর রাখ্তেম না। যত সব ডানপিটে ছেলে এ পাড়ায় জুটেছে!
বনমালী। বাবা ও আমার সন্দেশ—
তিনকড়ি। (নিবৃত্ত করিয়া) আরে, আরে, ও কথা আর বল্তে হবে না।
পিতা। কি কথা!