পাতা:হাস্য-কৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হাস্য-কৌতুক

 তিনকড়ি।  আজ্ঞে কিছুই নয়। আমি ভুতুবাবুকে আনা দুয়েকের সন্দেশ কিনে খাইয়েছি। সামান্য কথা! সে কি আর বলবার বিষয়!

 পিতা।  (পরম সন্তোষে) তোমার নাম কি বাপু?

 তিনকড়ি।  (সবিনয়ে) আজ্ঞে, আমার নাম তিনকড়ি মুখোপাধ্যায়।

 পিতা।  ঠাকুরের নাম?

 তিনকড়ি।  খুদিরাম মুখোপাধ্যায়।

 পিতা।  তুমি আমার পরমাত্মীয়। খুদিরাম যে আমার পিস্‌তুতো ভাই হয়।

(তিনকড়ির ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম)

 পিতা।  চল বাবা, বাড়িভিতর চল। জলখাবার খাবে। আজ পৌষপার্ব্বণ, পিটে না খাইয়ে ছাড়্‌ব না।

 তিনকড়ি।  যে আজ্ঞে!

 পিতা।  আজ রাত্রে এখানে থাকবে। কাল মধ্যাহ্ন ভোজন করে বাড়ি যেয়ো।

 তিনকড়ি।  যে আজ্ঞে।


দ্বিতীয় দৃশ্য
অন্তঃপুরে তিনকড়ি পিষ্টক আহারে প্রবৃত্ত

 তিনকড়ি।  (স্বগত) ডানহাতের ব্যাপারটা আজ বেশ চল্‌চে ভাল।

 ভুতুর মা।  (পাতে চারটে পিটে দিয়া) বাবা চুপ করে বসে থাক্‌লে হবে না, এ চার খানাও খেতে হবে!

 তিনকড়ি।  যে আজ্ঞে। (আহার)