পাতা:হাস্য-কৌতুক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অভ্যর্থনা
১৩

সাতুখুড়াের প্রবেশ

 সাতু।  এই যে, অনেক দিনের পর দেখা।

 চতু।  তা আর হবে না। কতগুলাে এক্‌জামিন—

 সাতু।  এই বেড়ালটি—

 চতু! (সরােষে) আমি বাড়ি চল্লেম। (প্রস্থানােদ্যম)

 সাতু।  আরে শুনে যাও না—এ বেড়ালটি—

 চতু।  না মশায়, বাড়িতে কাজ আছে।

 সাতু।  আরে একটা কথার উত্তরই দাও না—এ বেড়ালটি-

 [কোন উত্তর না দিয়া হন্‌হন্‌ বেগে চতুর্ভুজের প্রস্থান]

 সাতুখুড়ো।  আ মােল! ছেলেপুলেগুলাে লেখাপড়া শিখে ধনুর্দ্ধর হয়ে উঠেন! গুণ ত যথেষ্ট—অহঙ্কার চারপােয়া।

(প্রস্থান)

দ্বিতীয় দৃশ্য

চতুর্ভুজের বাটির অন্তঃপুর

 দাসী।  মাঠাকরুণ, দাদাবাবু একেবারে আগুন হয়ে এসেছেন।

 মা।  কেন রে?

 দাসী।  কি জানি বাপু।

চতুর্ভুজের প্রবেশ

 ছােটছেলে।  দাদা বাবু, এ বেড়ালটি আমাকে—