গুরু। তবে একে একে উত্তর দিই। প্রথম প্রশ্নের উত্তর, নিয়তিঃ কেন বাধ্যতে।
বদন। (দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া) আঃ বাঁচলুম! এ ছাড়া আর কোনো উত্তর হতেই পারে না।
গুরু। যদি বল “নিয়তিকে কে বাধা দিতে পারে” একথার অর্থ কি তবে সরল করে বুঝিয়ে দিই। নিয়তত্বই হচ্চে নিয়তির গুণ এবং নিয়তের গুণ হচ্চে নিয়তি। তা যদি হয় তবে নিয়তকালবর্ত্তী যে নিয়তি তাকে পুনশ্চ নিয়ত নিয়ন্ত্রিত কর্ত্তে পারে এমন দ্বিতীয় নিয়তির সম্ভাবনা কুতঃ? কারণ কিনা, নিত্য যাহা তাহাই নিয়ত এবং তাহাই নিয়ন্তা, অতএব রাবণের সঙ্গেই যে জটায়ুর যুদ্ধ হবে এ আর বিচিত্র কি!
সকলে। এ আর বিচিত্র কি!
বদন। অহো এ আর বিচিত্র কি!
গুরু। এক্ষণে দ্বিতীয় প্রশ্ন―
বদন। কিন্তু আর নয়, প্রথমটা আগে ভাল করে জীর্ণ করি!
অচ্যুত। কিন্তু কি চমৎকার উত্তর!
অপূর্ব্ব। কি সরল মীমাংসা!
কার্ত্তিক। কি পরিষ্কার ভাব!
উমেশ। কি গভীর শাস্ত্রজ্ঞান!
বদন। (শিরোমণির মুখের দিকে অনেকক্ষণ চাহিয়া) গুরুদেব, আপনার অবর্ত্তমানে আমাদের কি দশা হবে!
সকলের বাষ্প বিসর্জ্জন।