পাতা:হিতোপদেশঃ.pdf/৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੇ- ఖె } wo “মধু দ্যৌরস্তু নঃ পিত৷ ” উৎসগ। আমি শৈশবে মাতৃক্রোড়ে বসিয়া র্যাহার মুখে রামায়ণ, মহাভারত, ভাগবত প্রভৃতির সুললিত কথা শুনিতে শুনিতে নিদ্র। যাইতাম, এবং যাহার বদন-বিনির্গত,—“ম নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগমঃ শাশ্বতীঃ সমাঃ", “স তে ভবভু স্ব প্রীতা দেবী শিখরবাসিনী”, “কৃষ্ণঃ করোতু কল্যাণং কংসকুল্পরকেশরী”, “দ্বিত্বং চ ৰূপত্বং চ নৈব তুল্যং কদাচন”, “অজরামরবৎ প্রাজ্ঞো বিদ্যামৰ্থং চ চিস্তয়ে ২”, “কোহর্থঃ পুত্রেণ জাতেন যে ন বিদ্বান ন ধাৰ্ম্মিক?”,—ইত্যাদি মধুময়ী বাণী শিক্ষা করিয়া আধ আধ কথায় উচ্চারণ করিতাম। যাহার পীযুষনিস্যন্দিনী ভুবনমোহিনী পৌরাণিকী ধৰ্ম্মকথায় অসীম জনতা দ্রবীভূত হইয়া একটি পবিত্র প্রবাহে পরিণত হইত। যাহার আনন্দময় ভাবে তন্ময় হইয়া, জননী পুত্ৰশোক, শিশু মাতৃস্তন্ত, মুমূর্য, মৃত্যুভয় ভুলিয়া যাইত। যাহার আবির্ভাবে যুগপৎ সৰ্ব্বতীর্থের আবির্ভাব হইত, সকল দেবতার অধিষ্ঠান হইত, শত শত যোগী, ঋষি, সিদ্ধ ও মহাপুরুষের সমাগম হুইত, স্বগীয় আনন্দের শত শত নিঝর প্রবাহিত হইত, সত্যযুগের দিব্য পরিমল সঞ্চারিত হইত, শোক হর্ষে এবং নৈরাশ্য উৎসাহে পরিণত হইত। র্যাহার দর্শনমাত্রে অক্ৰবাণ শিশু ও মাতৃবক্ষ ছাড়িয়া তাহারি বক্ষ আলিক্ষনের জন্য লালায়িত হুইত । যাহার আলাপনে ছক্রিয় মদোন্মত্ত উদাম যুবা ও যৌবনোন্মাদ পরিত্যাগ করিয়া ভগবৎপ্রেমে উন্মত্ত হুইত, জরাজীর্ণ অবসন্ন আসন্নযুতু্য বৃদ্ধ ও পুলকে প্রফুল্ল হইয়া মৃত্যুশয্যা হইতে গাত্ৰোখান করিত । র্যাহার সমাগমে সকল স্থানই সদা উৎসবময়, জ্যোৎস্বাময় ও মধুময় বলিয়া জ্ঞান ইইত । যাহার অভয় সদানন্দমূৰ্ত্তি সকলের সকল শোক ও সকল সস্তাপ নিৰ্ব্বাণ করিত । যিনি বিদেশ হইতে স্বদেশে প্রত্যাগত হইলে, দেশের আবালবৃদ্ধবনিত। পরমানন্দে বিহবল হইত। যিনি এক স্থান হইতে অন্য স্থানে গমন করিলে, র্যাহার বিরহে এক স্থান শ্মশান ও র্যাহার পদার্পণে অন্য স্থান আনন্দকানন হইত। যাহার নিকটে ক্ষণকাল উপবেশন করিলে, হিংস্র, শঠ, নিষ্ঠুর ও পাষণ্ডেরাও আত্মপ্রকৃতি বিস্তৃত হইত। যিনি স্বয়ং সদানন্দ, ! সদাশিব, আত্মারাম ও অজাতশত্রু ছিলেন । যিনি, সম, দম, অহিংসা, | 寸