ੋਡ਼ সত্য, শৌচ, ক্ষমা, দয়া, দক্ষিণ্য, বদান্যতা, 。* প্রভৃতি সমস্ত সত্ত্বগুণের আধার ছিলেন । যিনি পিতৃভক্তি ও মাতৃভক্তির অাদর্শ, দাম্পত্যপ্রেমের পরাকাষ্ঠী, সৌভ্রাত্রের চরম সীমা, অপত্যক্ষেহের উৎস, পরোপকারের দৃষ্টান্ত, সরলতা ও নিৰ্ব্বিকারতার অবতার এবং বিশ্বপ্রেমের মূৰ্ত্তি ছিলেন । যিনি,—“মাতৃবৎ পরদারেষু”, “কো ধৰ্ম্মে৷ ভূতদয়া”, “অহিংস পরমে ধৰ্ম্মঃ”, “কঃ পরঃ প্রিয়বাদিনামৃ”, “নিস্পৃহস্য তৃণং জগৎ”, “বস্থধৈব কুটুম্বকৰ্ম",—ইত্যাদি মহাবাক্য জীবনের প্রতি মুহূৰ্ত্তেই সপ্রমাণ করিয়া গিয়াছেন । যিনি মধুময় হৃদয়ে বিশ্ব মধুময় দেখিতেন, এজন্য এ সংসারে অবিশ্বাস, অসন্তোষ, অসত্য, কপটতা, ঘূণা, ঈৰ্য্য, দ্বেষ, প্রভৃতির অস্তিত্বই জানিতেন না। যিনি আত্মানন্দে সদাই বাহ্যজ্ঞানশূন্য হইয়া, কি গলিতদন্ত বৃদ্ধ, কি অজাতদন্ত বালক, উভয়েরি সহিত অভিন্নভাবে মিশ্রিত হইতেন। যাহার বিকারশূন্য হৃদয়ে কি আত্ম-শিশু, কি মলমুত্রলিপ্ত চণ্ডাল-শিশু, উভয়েই সমান স্থান অধিকার করি ভ। যিনি অকৃত্রিম ভক্তিযোগে অমৃতীয়মান বাক্যে কি উচ্চ কি নীচ স্ত্রীলোকমাত্রকেই মাতৃসম্বোধন এবং পুরুষমাত্রকেই পিতৃসম্বোধন করিতেন । যিনি পিতার গৌরবেই আপনাকে গৌরবান্বিত এবং মাতার আশীৰ্ব্বাদেই আপনাকে সিদ্ধ কাম জ্ঞান করিতেন । পরিণ চিত ব্যক্তিমাত্রেই আপনাকে যাহার পুত্রাধিক প্রেমাম্পদ বলিয়া জ্ঞান করিত । প্রায় পঞ্চদশ বর্ষ লোকান্তরগত যে পুণ্যাত্মার নাম করিলে অদ্যপি লোকের হৃদয় স্ফীত, গাত্র কণ্টকিত ও নেত্র গলদ শ্রু হয় । পুণ্যশ্লোক নল যুধিষ্ঠিরাদির ন্যায় যে মহাপুৰুষের নাম করিলেও সমস্ত অমঙ্গল দূরে যায়। আমি, সেই “স্বৰ্গাদুচতরঃ", ঈশ্বরকল্প, অভীষ্টদেব, পরম গুরু, স্বৰ্গীয়, পিতৃদেব,-- ৮ ক্লষ্ণমোহন শিরোমণির প্রাতঃস্মরণীয় নামে তদীয় অক্ষয়-প্রীতি-কামনায় এই গ্রন্থ উৎসর্গ করিলাম । “পিত ধৰ্ম্মঃ পিতা স্বর্গঃ পিতা হি পরমং তপঃ । পিতরি প্রীতিমাপল্পে প্রীয়ন্তে সৰ্ব্বদেব তাঃ” ॥ পরমারাধ্যক্রপিতৃদেবপাদানুধ্যা ত । দাসাকুদাস ঐতারাকুমার {
- 、 - -!
!
