পাতা:হিন্দুধর্ম্মের আন্দোলন ও সংস্কার.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ه ۵ ] অল্প । তাহাব দ্বারা কি কোন কার্ষ্য হইতে পারে ? কে তাহার কথা শুনে, কে র্তাহাকে গ্রাহ্য করে ? কিন্তু ধৰ্ম্ম জগতেৰ ইতিহাস পাঠ করিলে দেখা যায় যে, সামান্য সামান্য ব্যক্তির দ্বাবাই মহৎ কার্যা সম্পাদন হইয়াছে। যে ব্যক্তি ধৰ্ম্মবলে বলীয়ান, তাহার দ্বারা কোন কাৰ্য্য সমাধা না হয় । স্বয়ং ভগবান তাহার সহায় । এই যুবা পুরুষটর নাম শ্ৰীকৃষ্ণ প্রসন্ন সেন । ইনিই বর্তমান ধৰ্ম্ম আন্দোলনের মূল । সুতরাং তাহাব সম্বন্ধে কিছু বলা এস্থলে আবশ্যক হইতেছে । “সাধু যাহাব ইচ্ছ, ঈশ্বৰ তাহাব সহায়” । শ্ৰীকৃষ্ণ প্রসন্ন সেন, মুঙ্গেরের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিগণেব সহিত ধৰ্ম্মসম্বন্ধে আলোচনা করিতে লাগিলেন। তিনি বালক হইলেও তাহার জ্ঞানগর্ভ ও যুক্তিপূর্ণ বাক্য গুলি অনেকেব হৃদয়ঙ্গম হইল। আর্য্য-ধৰ্ম্ম প্রচাবের আবশ্যকতা তাহাবা বুঝিতে পারিলেন । কালেকটারের সেরেস্তাদার শ্রীযুক্ত বাবু চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুঙ্গেরের ইংরাজী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্ৰীযুক্ত বাৰু অঘোরনাথ মুখোপাধ্যায়, জমীদার ত্রযুক্ত বাবু গঙ্গাপ্রসাদ ও ত্রযুক্ত বাবু রামপ্রসাদ দাস, পণ্ডিত ত্রযুক্ত ভাইরাম অগ্নিহোত্রি এবং প্রধান মুনসেফ প্রভৃতি মহোদয়গণ শ্ৰীকৃষ্ণপ্রসন্নকে উৎসাহ দিতে লাগিলেন । অবশেষে ১২৮৪ বঙ্গাব্দের (ইং ১৮৭৫ ) মাঘ মাসে, মুঙ্গেরে মাৰ্য্যধৰ্ম্মপ্রচারিণী সভা প্রতিষ্ঠিত হইল।