পাতা:হিন্দুর জীবন-সন্ধ্যা - যোগেশচন্দ্র রায়.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুর জীবন-সন্ধ্যা । ভীষণ কল্লোল ; নিযুত যোজন দূরে, শুনাযায় যেন পার্শ্বে উঠিছে আরাব ; চল মাতঃ, আজি মোরা দেখিব সেস্থান ।” এতাবলি মায়াদেবী চলিল ত্বরায়, মায়ার মায়ায় মুগ্ধ চলিলা জননী, দেখিলা বিস্তৃত পুরী ; চতুদিকে তার গিরিচুড়াসম উচ্চ প্রাচীর সকল পড়িতেছে খসি, ধীরে, স্তপের আকার ; বিবণ, মলিন, সেথা সৌন্দৰ্য-বিহীন। কত মঠ, পঞ্চরত্ন, নবরত্ন আদি দাড়াইয়া সুবিমল আকাশের পটে সুচিত্রিত, আহা মারি । জীবনমোহন । বৃদ্ধের ললাটদেশে যেমতি কুঞ্চন, শিরে শুক্ল কেশরাজি, করে বিজ্ঞাপিত বয়োমান ; বিজ্ঞাপিত করিল। তেমতি মঠচিহ্ন জীবনের অবসান ওহি ! সুন্দর শিখররাজি, ভুবন-মোহন, কোন কোন মঠশির করি শূন্যময়, পতিত ভূতল মাঝে ; স্থানে স্থানে স্থানে ভাঙ্গিছে ইষ্টক রাজি পড়ি মহীতলে । মায়াসহ চমকিত ভারত-জননী হৈলে কতদূর আগু, দেখাইলা মাতা বিশাল বিস্তৃত পুৱী, মিশিয়াছে দূরে অনম্বর সহ, স্থির, সুনীল, উজ্জল ।