পাতা:হেমপ্রভা.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ն হেমপ্ৰভা ৷ শুক, আনীত রক্তবর্ণ ফলটি বিপ্ৰপত্নীকে দিয়া বলিল জননি। আপনার জন্যে এই ফলটি আনিয়াছি; এই ফলের গুণ কি বলিব, দেবতাগণও এমত ফল অতি বিরল পাষ্টয়া থাকেন। ইহা ভক্ষণ করিলে কুৰূপ স্বৰূপ৷ হয়; বর্ষীয়সী পূর্ণ যুবত্ব প্রাপ্ত হয়। প্রার্থনা করি, আপনি ইহা ত্বক্ষণ করিয়া এ দাসের শ্রম সফল করুন। • বিপ্ৰজায় নিতান্ত হর্যোৎফুল্লচিত্তে ফলগ্রহণ পূর্বক স্বীয়স্বামী শ্বেতকুশের সমীপে ফলের আমুপুৰীক বিবরণ জ্ঞাপন করাষ্টয়াবলিল প্ৰভো! এইক্ষণে এই ফলটি রোপণ করিয়া রাখা যাউক ; সময়ানুসারে এমত বহুফল পাইতে পারিব । ব্ৰাহ্মণ বলিল চহাই কৰ্ত্তব্য । এষ্টমত পরামর্শান্তে দম্পতি ফল লষ্টয় নিজাবাসের এক নিৰ্জ্জন স্থানে রোপণ করিল। ক্রমে অম্বুরাদি জন্মিয়া, কালক্রমে ফলরক্ষ ফলবান হইল। একদা বিপ্রভাৰ্য্য৷ ফলৱক্ষ দর্শনাশায় গিয়া দেখে, বৃক্ষটি গোড়া হইতে সরলভাবে প্রায় দ্বাদশ হস্ত দীর্ঘ হইয়াছে; হরিৎবর্ণ শত শত শাখা প্রশাধ”-ওঁক্ষতৃদিকে উৎপন্ন হইয়াছে ; পীতবর্ণ পত্রগুলি ধকধ্বক করিয়৷ জলিতেছে ; থোপায় থোপায় ফল নিচয় পৰ্ক হইয়। ব্লক্ষের শোভা সম্পাদন করিয়াছে; বায়ুভরে শাখাপ্রশায় গুলি হেলিয়া ছলিয়া এদিকে ওদিকে পড়িতেছে। এমতকালীন একটি ফল তাহার সম্মুখে পতিত হইল । ব্ৰাহ্মণী কুড়ান্টুয়া লইয়া ভাবিতে লাগিল এই ফলটি আর কাহাকে দিব, যাহার সৌন্দর্ঘ্যে আমার নয়নের প্রীতি জন্মিৰে তাহাকেই দেওয়া কৰ্ত্তব্য।