পাতা:হেমপ্রভা.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেমগ্ৰতা । 8○ হানন্তর সত্যবান সাবিত্রীকে লইয়া গৃহে গিয়া পরম রথে কালযাপন করিতে লাগিলেন । সত্যবান, বনহইতে কাষ্ঠ আহরণ করিয়া তদ্বিক্ৰয় দ্বারা জনক জননী এবং ভার্ষ্যার গ্রাসাচ্ছাদন যোগাইতেন । সম্বৎসর কাল এইৰূপে অতীত তুষ্টল । সাবিত্রী মনে মনে তাৰিতে লাগিলেন, সম্বৎসরকাল অতীত-ইষ্টয়াছে ; এখন আর স্বামীর সঞছাড়া হওয়া কৰ্ত্তব্য নয়। অদ্য স্বামী যে অরণ্যে যাইবেন, মামিও শঙ্কার সঙ্গে গমন করিব । ইতি চিন্তা করিতেছেন, এমত কালে সত্যবান বনযাত্রার আয়ে"ম কছিলেন। সাবস্ত্রী কহিলেন স্বামিন! বহুকালাবধি আমার অরণ্য দর্শনের নিতান্ত অভিলাষ আছে ; আদ্য আমি আপনার সঙ্গে যাইয়া বনের শোভা দর্শন করিব । সত্যবান বলিলেন প্রিয়ে। বনে কত কত হিংস্ৰক প্ৰশ্বাদির ভয় আছে ; তুমি অবলা, স্বভাবতঃ ভীয় ; অতএব তোমার বনগমন করা কৰ্ত্তব্য নয়। ইত্যাদি কত প্রকার বুঝাষ্টলেন ; কিন্তু সাবিত্রী তাহা না শুনিয়া নিতান্তই বনগমনের প্রয়াস ভু নাইলে, অগত্য সত্যবান সাবিত্রীকে লইয়া বিপিনে গমন করিলেন । উভয়ে, বনে যাষ্টয়া, নানা প্রকার ফল মূল আহরণ পূর্বক কান্ত আহরণ . করিতে করতে সত্যবানের শিরঃপীড়া হইল । সত্যবান কণ্ঠ আহরণে নিরস্থ হইয়া, সাবিত্রীকে বলিলেন প্রিয়ে! আমার শিরঃপীড়া হৃষ্টয়াছে। অার কান্তাহরণ করিতে পারি না, বিশ্রাম করিতে চাহি, ইহা বলিয়া সাবিত্রীর উরুদেশে মস্তক রাথিয়া ভুমি