পাতা:হেমপ্রভা.pdf/৭১

\ হেমপ্রজা । বিময়ী দামামা ছুটি হরণ করিয়া অধোমুখে বক্ষে রাখিরাছেন ; যিনি, তুৰ্দ্ধান্ত করিশক্রর কাট-শোভা অপহরণ করিয়া শুরাজক গিরিকন্দরে তাড়াইয়া দিয়াছেন; তা১ার পক্ষে এ ক্ষুদ্র পুরুষের মন হরণ করা, সহজ বৈ কি? বীভূপতিনন্দনের এতাদৃশ বাক্যে বণিকতনয় লজ্জা ও বর্ষের উদ্রেক সহকারে মৌনাবলম্বন করিলেন। গন্ধৰ্ব্ববালা বললেন, আপনাদের রহস্যভঙ্গী দৃষ্টে পরম চারতাৰ্থ হইলাম। আহা! এ পাপীয়সীই উভয়কে এত ক্লেশে পতনের হেতু হইয়াছিল। এইক্ষণে বাসনা যে আমি সাক্ষাৎ থাকিয়া, গান্ধৰ্ব্ব বিধানে আপনাদের উপযম করাইয়া, অন্তঃকরণের উল্লাস লাভ করি, এই বলিয়া গন্ধৰ্ব্বনন্দিনী পুষ্পাহরণে গমন করিলেন। " গন্ধৰ্ব্ববালা গমন করিলে পর রাজকুমার বলিলেন প্রিয়ে! তুমি কি গতিকে এখানে আসিয়া পাষণ ইয়াছিলে ? হেমপ্রভা বলিলেন নাথ! বিবাহ রাত্রিতে আমি সীগণে পরিবেষ্টিত হইয়া আছি; এমন সময়ে এক গন্ধর্ব বিমানাবতীর্ণ হইয়া মায়াবলে আমাকে মূচ্ছিত্নপ্রায় করিয়া, এখানে ইয়া আসিল, এবং গন্ধৰ্ব্বস্তৃত তরঙ্গসেনার দিকে ভূৰ্মক্ষেপ করিয়া বলতে লাগিল,প্রাণাধিকে আত্মজে! তুমি পাষাণাঙ্গী হওয়াবধি আমি হেমচন্দ্র বণিকের কন্যার বিবাহদিনের প্রতীক্ষায় অতি দুঃখে কালযাপন করিতেছিলাম। অন্ত তাঙ্কার বিবাহ দিন নির্ণীত হইয়াছিল । আমি ভগবতীর আজ্ঞানুসারে তাছাকে হরণ করিয়া আনিয়া তোমাতে স্পর্শ করাই