পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/১০০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৫১৩ সাল।
৮৩

সন্দেহ করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। একদিন একটু অসাবধানতাবশতঃ ধরা পড়িলাম। আমায় গ্রেপ্তার করিয়া তিনি তাঁহার বাটীর এক অন্ধকার ঘরে কয়েদ করিয়া রাখিলেন। আমি অনেক টাকার লোভ দেখাইয়া কারাগারের প্রহরীকে বশীভূত করিয়া একরাত্রে পলায়ন করিলাম। পরে বিপিন বাবুর বাটীতে আশ্রয় লই। তাহার পর পারিতোষিকের লোভে ‘প্রভাতী’ সম্পাদক মহাশয়ের এক বিশ্বস্তু কর্ম্মচারীকে বশীভূত করিয়া তাঁহার কার্য্যকলাপের সংবাদ লইতে লাগিলাম। তাহার নিকট শুনিতে পাই যে, সুন্দরলাল নামক এক ব্যক্তিকে রজনীবাবুদিগের পশ্চাতে লাগান হইয়াছে। পরে জানিতে পারিলাম যে, এক জলদস্যুর সহিত বন্দোবস্ত করিয়া তাঁহাদিগের জাহাজ ডুবাইবার বন্দোবস্ত করা হইয়াছে। সুন্দরলাল সুবিধা করিতে না পারায় এই বন্দোবস্ত করা হয়। যাহা হউক, সুন্দরলাল রজনীবাবুদিগের দৈনিক কার্য্য বিবরণী পাঠাইত। যখন সম্পাদক মহাশয় শুনিলেন যে, বাস্তবিকই আশাতিরিক্ত সুবর্ণ পাওয়া যাইতেছে, তখন আর স্থির থাকিতে না পারিয়া জলদস্যুর সহিত বন্দোবস্ত করেন। যাহা হউক, তাঁহার অভিসন্ধি জানিতে পারিয়া আমি রজনীবাবুকে সাবধান করিয়া দেই। দুঃখের বিষয় এই যে, বিস্তারিত সকল কথা তাঁহাকে জানাইতে পারি নাই; কেননা যে তারহীন বার্ত্তা প্রেরণের যন্ত্রের সাহায্যে সংবাদ পাঠাইতেছিলাম তাহা মাধববাবুর। আমাকে উহা ব্যবহার করিতে দেখিয়া তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করেন। আমি গুপ্তকথা প্রকাশ করিতে ইচ্ছুক ছিলাম না। কাজেই একটা যা’ তা’ উত্তর দেই। তিনি আমায় উহা ব্যবহার করিতে নিষেধ করিলেন। অগত্যা বিস্তারিত সংবাদ পাঠাইতে পারিলাম না। পরে একদিন সুবিধা পাইয়া উহা ব্যবহার করি। কোন উত্তর না পাওয়ায় বুঝিলাম যে রজনীবাবুরা কলিকাতায় আসিতেছেন। আমার আর বিশেষ কিছু বলিবার নাই।”