পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/১৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৫১৩ সাল।

একজন বাঙ্গালী কবি গাহিয়াছিলেন, “একটা নূতন কিছু কর।” আমি যে প্রস্তাব করিতেছি তাহা সম্পূর্ণ নূতন ও অভিনব। কথাটা এই। আপনারা সকলেই বোধ হয় জানেন যে সমুদ্রের জল হইতে সুবর্ণ পাওয়া যাইতে পারে। ভূমিতে যে সুবর্ণ আছে তাহা উত্তোলন করিতে অনেক ঝঞ্ঝাট পাইতে হয়। কিন্তু আমার প্রস্তাব নির্ঝঞ্ঝাট বলিলেই হয়—”

 একজন জিজ্ঞাসা করিলেন:—“কিরূপ?”

 “দেখুন, খনির উৎপাদিকাশক্তির সীমা আছে। সুবর্ণ বা অন্য ধাতু তুলিতে খরচ অনেক পড়ে, যেমন ম্যানেজার, কুলী, মজুর, প্রভৃতির মাহিয়ানা, যন্ত্রাদির ক্ষয়, ইত্যাদি। তাহার উপর কঠোর আইনের গণ্ডীর ভিতর কাজ করিতে হয়। অজ্ঞাতসারে কোন আইনভঙ্গ করিলে এবং তাহা ধরা পড়িলে, খনি-পরিদর্শক-মহাশয়ের কৃপায় আদালতে যাওয়া আসা করিতে হয়। তাহার উপর সরকার বাহাদুর, জমির মালিক প্রভৃতিকে অনেক সেলামী দিতে হয়। সকল খরচ খরচা বাদে যাহা থাকে, তাহা হইতে রেস্তে কিছু রাখিয়া বাকী টাকায় শতকরা ১০ হইতে ২০ টাকা মাত্র লাভ পোষায়। এমনও প্রায় ঘটিয়া থাকে যে একটা খনি হইতে প্রথম প্রথম বেশ আয় হইতেছে, কিন্তু হঠাৎ দেখা যায় যে lodeটা শেষ হইয়া গিয়াছে। তখন অংশীদারদিগকে হাহাকার করিতে হয়। ফাঁকতালে কোম্পানী-স্থাপয়িতারা কিছু মারিয়া ল’ন। এই সকল কারণে আমি ভূমিস্থ সুবর্ণ-খনির ব্যবসায়ের পক্ষপাতী নই।”

 আমি জিজ্ঞাসা করিলাম:—“আপনার প্রস্তাবের সুবিধা কি?”

 উত্তরে বন্ধু বলিলেন:—

 “এখন তাহা দেখাইব। আমি বলিয়াছি যে সমুদ্রে বৃহৎ যন্ত্রাদির প্রয়োজন নাই। Inspector of Mines এর উৎপাত নাই, কেননা খনি যেখানে নাই, সেখানে পরিদর্শক কি করিতে যাইবে—”