পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/১৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৫১৩ সাল।

দেখিতেছেন। এই পথে জল pump করিয়া আমার বিজ্ঞানাগারে লইয়া যাই। এখন কি উপায়ে সুবর্ণ উৎপাদন করি সকলে দেখুন।”

 এই বলিয়া তিনি দেওয়ালের গাত্রস্থিত একটী রবারের বোতামের উপর দুইটা আঘাত করিলেন। তৎক্ষণাৎ একটা শব্দ হইয়া বিজ্ঞানাগারের dynamo চলিতে আরম্ভ করিল। শীঘ্রই জল পম্প হইয়া পূর্ব্বোক্ত porcelain পাত্রের ভিতর দিয়া আর একটা মারবেলের চৌবাচ্চায় পড়িতে লাগিল। দুই এক মিনিট পরে সেই জল টগ্ বগ্ করিয়া ফুটিতে লাগিল। কিয়ৎক্ষণ পরে সেই জল বাষ্পাকারে উড়িয়া গেল। অবশিষ্ট গুঁড়ার মত কি পড়িয়া থাকিল। তাহাই সযত্নে চামচে উঠাইয়া লইয়া বন্ধুবর একটা test tube এ রাখিয়া দিলেন; পরে তাহার সহিত কি একটা গুঁড়া মিশাইয়া একটা spirit lampএর উপর কিয়ৎক্ষণ জ্বাল দিলেন। তাহার পর tube এর উপরের খানিকটা গুঁড়া ফেলিয়া দিয়া tubeটা আমায় দিয়া বলিলেন:—

 “এই যে হরিদ্রাবর্ণের দ্রব্যটী পড়িয়া আছে, উহাই সুবর্ণ। বিশ্বাস না হয় কোন জহুরীর নিকট যাচাই করিয়া আনুন।”

 সকলেই আমার দিকে ঝুঁকিয়া পড়িলেন। একে একে সকলে ঐ দ্রব্যটী দেখিলেন এবং উহা যে সোণা তাহা কাহারও বুঝিতে বাকী রহিল না। আমরা তাঁহাকে ধন্যবাদ দিলাম।

 বন্ধুবর আমাদিগকে নমস্কার করিয়া বলিলেন:—

 “আজি প্রায় দশ বৎসর হইতে আমি পরীক্ষা করিয়া আসিতেছি। এ পরীক্ষার কথা কাহাকেও জানাই নাই, কেন না যদি কৃতকার্য্য না হই, তাহা হইলে আমায় হাস্যাস্পদ হইতে হইবে। অনেক চিন্তা ও অর্থ ব্যয় করিয়া আমি সফলতা লাভ করিয়াছি। তাহার প্রমাণ দিলাম। এখন আপনাদের কার্য্য করুন।”

 “Processটা কি জানিতে পারি?” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম।