পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/২১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১০
১৫১৩ সাল।

বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া আছে। তাহার উপর এক কলম সম্পাদকীয় মন্তব্যও আছে। তাহার মর্ম্মার্থ এই যে বন্ধুবরে প্রস্তাবটী একটা দ্বিতীয় South Sea Bubble এবং গবর্ণমেণ্টের উচিৎ যদি ঐ কোম্পানী স্থাপিত হয়, তবে তাহার স্থাপন-কর্ত্তাদিগকে অভিযুক্ত করা। একে একে সকল সংবাদপত্র পাঠ করিলাম। দেখিলাম অল্প বিস্তর সকল পত্রিকাতেই আমাদের সভার বিবরণ প্রকাশিত হইয়াছে। কেহ বা সামান্য দুই একটা মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন, কেহ বা করেন নাই। একমাত্র “রঞ্জন” অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করিয়াছেন এবং প্রস্তাবকর্ত্তা একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানবিদ্ বলিয়া কোনরূপ জুয়াচুরীর সম্ভব নাই, একথা স্পষ্ট করিয়া লিখিয়াছেন।

 কিয়ৎক্ষণ সকল কথা চিন্তা করিলাম। যদি বন্ধুবর বিখ্যাত বিজ্ঞানবিদ্ না হইতেন এবং তাঁহার উপর অচলা ভক্তি ও বিশ্বাস না থাকিত, তাহা হইলে কখনও আমি তাঁহার প্রস্তাবে সম্মত হইতাম না। তাহার উপর তিনি হাতে কলমে দেখাইয়া দিয়াছেন যে সমুদ্রের জল হইতে সুবর্ণ উৎপাদন করা যায়। সুতরাং যে যাহাই বলুক আমি যখন কথা দিয়াছি, তখন শত বাধা ঘটিলেও বন্ধুবরের সাহায্য করিবই করিব।

 বড় দাদা মহাশয়ের পত্রের উত্তর লিখিতে যাইতেছি, এমন সময় বাহিরে একখানা গাড়ী থামিল। জানালা দিয়া চাহিয়া দেখি মাতাঠাকুরাণী কাশী হইতে উপস্থিত। কুশলাদি জিজ্ঞাসার পর তিনি বলিলেন:—

 “হাঁরে লেখা পড়া শিখে কি মানুষ মূর্খ হয়? তুই তাই হয়েছিস্ দেখ্‌ছি। ব্যাপার কি?”

 আমার বুঝিতে বাকী রহিল না। জিজ্ঞাসা করিলাম:—

 “তোমায় খবর কে দিল?”