১২
১৫১৩ সাল।
“তোমার চাকর হরিশ কোথায়?”
“কাল তাহার দেশ হইতে এক টেলিগ্রাম আসে যে তাহার ভগিনীর কলেরা হইয়াছে। তজ্জন্য সে সন্ধ্যার গাড়ীতে বাড়ী গিয়াছে।”
“ক’ দিনের ছুটী দিয়াছ?”
“এক সপ্তাহের।”
“আমার মনে একটা বিষম সংশয় উপস্থিত হইয়াছে। তোমার তারহীন বার্ত্তা-প্রেরণের যন্ত্রটা ঠিক আছে কি?”
“হাঁ, কেন?”
“প্রয়োজন আছে, পরে বলিব।”
কাশীতে আমার এক আত্মীয় ছিলেন। তাঁহাকে ইথারো-গ্রামে জিজ্ঞাসা করিলাম যে হরিশ তাহার বাড়ীতে আছে কিনা এবং তাহার ভগিনী কেমন আছে। ঘণ্টা খানেক পরে উত্তর পাইলাম যে হরিশ কলিকাতায় যাইবে বলিয়া প্রাতেই চলিয়া গিয়াছে এবং তাহার ভগিনীর কোনরূপ অসুখ হয় নাই।
বন্ধুবরকে জিজ্ঞাসা করিলাম:—
“হরিশের জিনিষপত্র কোথায়?”
আমায় তাহার ঘরে লইয়া গেলেন। দেখিলাম যে একটা টিনের বাক্স, দুই একটা বালিস ও কাঁথা ব্যতীত আর কিছুই নাই।
একটু ভাবিয়া বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করিলাম:—
“আমায় এ বাক্স খুলিতে অনুমতি দিবে কি?”
“কেন?” তিনি বিস্মিতভাবে প্রশ্ন করিলেন।
“বিশেষ কারণ না থাকিলে এরূপ অনুরোধ করিতাম না। কথাটা কিছু গুরুতর দাঁড়াইয়াছে। এক কথায়, এখনও সময় থাকিতে সাবধান না হইলে আমাদের বিপদে পড়িতে হইবে। তুমি আপত্তি করিও না।”