পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/২৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৪
১৫১৩ সাল।

পারি। এমন কি দেবতাদিগকেও বশ করা যাইতে পারে। এখনও কি ঘটনাটা উপলব্ধি করিতে পারিলে না?”

 “বাস্তবিক না। এ একটা মস্ত সমস্যা বোধ হইতেছে। তুমি কিছু বুঝিয়াছ কি?”

 গম্ভীর স্বরে উত্তর দিলাম:—

 “সমস্তই বুঝিয়াছি। এখনই বুঝাইয়া বলিব। কথাটা এই। তোমার প্রস্তাব অতি সুন্দর। যদি তাহা বিশেষ লাভ জনক না বোধ হইত, আমি কখনই অংশ লইতে স্বীকৃত হইতাম না। তুমি সমুদ্রের জল হইতে সুবর্ণ উৎপাদনের চেষ্টা অনেক দিন হইতেই করিতেছ। একথা বাহিরে প্রকাশ না থাকিলেও, তোমার বাড়ীর অনেকেই জানে, নিশ্চিত। কি বল?”

 “হাঁ। হরিশ মাঝে মাঝে আমায় সাহায্য করিত।”

 “তবেই ঠিক হইল। হরিশ জানিত যে তুমি একটা বিশেষ লাভ জনক ব্যাপারে প্রবৃত্ত আছ। “প্রভাতী” সম্পাদক তোমার একজন শত্রু, তাহা তাহার সম্পাদকীয় মন্তব্যেই প্রকাশ। কারণ কি, তোমরাই জান। তবে আমি লক্ষ্য করিয়া আসিতেছি যে, তোমার আবিষ্কারগুলি অকিঞ্চিৎকর এই কথা প্রায়ই সে উহার কাগজে লিখিয়া থাকে। যাহা হউক, সে তোমার অনিষ্ট করিবার চেষ্টা খুঁজিতেছিল। তাহা সে অনেকদিন পরে সাধিত করিবার সুযোগ পাইল। সে হরিশাকে অর্থলোভে বশীভূত করিয়া আমাদের সভার সকল বিবরণ সংগ্রহ করে এবং আমার বিশ্বাস যে সে তাহারই আজ্ঞাক্রমে আমার মাতাঠাকুরানীর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তোমার কার্য্য একটা বিষম জুয়াচুরী ইত্যাদি বলিয়া ভাঙ্‌চি দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। তাঁহার কথায় আমার এই বিশ্বাস হইয়াছে। আরও একটা বিশ্বাসের কারণ এই, যে তাহার ভগিনীর কোন অসুখ না হইয়া থাকিলেও সে মিথ্যা কথা বলিয়া কল্যই