১৫১৩ সাল।
২৭
বন্দোবস্ত করিয়াছি—একটা টরপেডোর ওয়াস্তা। আপনারা আমার উপর যখন সকল বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছেন, তখন এ বিশ্বাসও রাখিতে পারেন।”
বিপ্রদাসবাবু বলিলেন:—“বিশ্বাস না থাকিলে কি আর এ কার্য্যে প্রবৃত্ত হইতাম। যাহা হউক, এ বিষয়ে আর অধিক বাক্যব্যয়ের প্রয়োজন নাই।”
বল মহাশয় চিন্তাযুক্তভাবে বলিলেন:—
“দেখুন, সত্য বলিতে কি, আমার মনে কেমন একটা খট্কা উপস্থিত হইয়াছে। আমি প্রস্তাব করি যে আমাদের কোম্পানীকে পাব্লিক্ করা হউক।”
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম:—
“কি করিয়া করা যাইবে?”
“কেন, আমাদের মূলধন বাড়াইবার বা কমাইবার অধিকার আছে। আমরা মনে করিলেই, ধরুন আর পাঁচলক্ষ টাকার অংশ সৃষ্টি করিয়া সাধারণকে উহা বিক্রয় করিতে পারি। তবে নিয়ম পত্রের যা একটু পরিবর্ত্তন করিতে হয়, এইমাত্র। এ আর বেশী কথা তো নয়।”
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম:—
“কেন, প্রাইভেট্ কোম্পানীতে কাহারও আপত্তি আছে কি?”
“হওয়া বিচিত্র কি? মানুষের মন, নিয়ত পরিবর্ত্তনশীল।”
একটু বিরক্তভাবে আমি বললাম:—
“এমন যদি কেহ থাকেন, তিনি আমাদের সংস্রব ত্যাগ করিতে পারেন। আমি তাঁহার অংশ parএ ক্রয় করিতে প্রস্তুত আছি।”
বিপ্রদাস বাবু বলিলেন:—
“চটিবেন না। অংশীদারদিগের নিকট এক পত্র প্রেরণ করিয়া সকলের এ বিষয়ে মতামত জানা যাউক। তাহার পর যাহা হয় স্থির করা যাইবে।”